আশাশুনিসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকে থাকা শি/শু/র মৃ/ত্যু, আহত- ৯

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরায় যত্রিবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকে থাকা শিশু যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ৯ জন। যাদের মধ্যে গুরুতর ছয় জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রবিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের ধুলিহর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল ইসলাম।

নিহত দেড় বছরের শিশু মোস্তাকিমের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামে। এ দুর্ঘটনায় শিশুটির মা শাপলা খাতুন (২৫) ও নানী নাজমা খাতুনও গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ভর্তি আছেন।

এছাড়া গুরুতর আহত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে রাশেদ আলী (৪০), আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরের রজব আলী সরদারের ছেলে মোজাম্মেল সরদার (৩২), খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, লাউড়ী গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে হযরত আলী (৪৫)। তারা সবাই ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের যাত্রী।

এ দুর্ঘটনায় আহত পথচারী নাজমুলকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন আলমসাধুর চালক মুজাম্মেল হোসেন। এছাড়া মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হলেও তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ইজিবাইক চালক আশাশুনি উপজেলার শ্বেতপুর গ্রামের বাবুরালী গাজী জানান, উপজেলার দরগাহপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি ইজিবাইক রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে পৌঁছালে সাতক্ষীরাগামি একটি যাত্রীবাহী বাস (বরিশাল-ব-১১-০০০১) একটি আলম সাধুকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ইজিবাইকের পিছনে ধাক্কা মারে। এতে ইজিবাইকটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ইজিবাইকের যাত্রী শিশু মোস্তাকিম হোসেন (২) মারা যায়। এ সময় আহত হয় ইজিবাইক চালকসহ ছয় যাত্রী। চালক বাসটি রেখে পালিয়ে যায়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

আলমসাধু চালক আহত মুজাম্মেল হোসেন বলেন, আশাশুনির দিক থেকে সাতক্ষীরাগামী দ্রুতগতির বাস রামচন্দ্রপুর মোড়ে আসলে আলম সাধুসহ ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় বাহনগুলো দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা মোটরসাইকেল চালককে নিয়ে যায়। আর বাসের চালক ও তার সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে সেখানে পুলিশ আসে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রাশেদ খান বলেন, দুর্ঘটনার পর সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার মা ও নানীসহ আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছয়জনের চিকিৎসা চলছে।

ওসি শামিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আটজনের বেশি আহত হলেও গুরুতর আহত ছয়জন। এছাড়া ঘটনায় জড়িত বাসটিকে জব্দ করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে বাসচালক ও তার সহযোগীরা পালিয়ে গেছে বলে জানান ওসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *