সুন্দরবনে প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা
নাজমুল আলম মুন্না: সুন্দরবনে প্লাস্টি দূষণ রোধ ও বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ বন্ধ করি- সুন্দরবন রক্ষা করি” এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে রূপান্তরের সহযোগিতায় এবং সাতক্ষীরা জার্নালিজম ফর সুন্দরবনের আয়োজনে রোববার সকাল ১১টায় অগ্রগতি রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপান্তরের এরিয়া ম্যানেজার তসলিমা আহমেদ টংকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক জিএম মনিরুল ইসলাম মিনি, জার্নালিস্ট ফর সুন্দরবনের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, সদস্য সচিব আহসান রাজিব, আশাশুনি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জিএম মুজিবর রহমান। সভায় বক্তব্য রাখেন রুহুল কুদ্দুস, গোলাম সরোয়ার, নাজমুল আলম মুন্না, সামিউল আযম মনির, আবুল হাসান, মনিরুল ইসলাম মনি, আব্দুল হালিম, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ফুসফুস খ্যাত পরিচিত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পরিবেশগত সংকট উত্তরণে গণমাধ্যমের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনাই ছিল এই সভার মূল উদ্দেশ্য।
কর্মশালায় উপস্থিত সাংবাদিকগণ সুন্দরবনের বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি, দূষণের বিভিন্ন উৎস যেমন – শিল্পবর্জ্য, নৌ-চলাচল , তেল নিঃসরণ, প্লাস্টিক দূষণ, এবং কৃষি জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশকের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন উল্লেখ করেন যে, এই দূষণের ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলছে।
আলোচনায় সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের উন্নতিতে করণীয় বিভিন্ন দিক উঠে আসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগ, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিকল্প জীবন জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে উৎসাহিত করা।
সাংবাদিকরা মনে করেন, সুন্দরবনের সুরক্ষায় জনসচেতনতা তৈরি এবং নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। বস্তুনিষ্ঠ ও ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সুন্দরবনের গুরুত্ব এবং সংকটগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকবৃন্দ সুন্দরবনের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং অমূল্য বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় আরও সক্রিয় ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর জোর দেন এবং একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই সভাটি সুন্দরবন অঞ্চলের পরিবেশগত সুরক্ষায় গণমাধ্যম কর্মীদের আরও সংবেদনশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করবে বলে আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রূপান্তরের সুন্দরবন প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী গোলাম কিবরিয়া।