সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে ক্যাটাগ্রা ট্যাবলেটসহ প্রায় সাত লক্ষ টাকার পন্য জব্দ
গাজী হাবিব: সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় নেশাজাতীয় ক্যাটাগ্রা ট্যাবলেটসহ প্রায় সাত লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর সদস্যরা ভোমরা, গাজিপুর, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, মাদরা ও হিজলদী সীমান্ত এলাকা থেকে এ সব ভারতীয় মালামাল আটক করে।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজিবি জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাকডাঙ্গা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস এর ৭ আরবি হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন ভাদিয়ালী নামক স্থান হতে ২৫০০ পিস ভারতীয় নেশা জাতীয় ক্যাটাগ্রা ট্যাবলেট আটক করে। ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৩/৪-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন লক্ষীদাড়ি নামক স্থান হতে ৩৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। গাজিপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ৫ এস এর আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন গাজিপুর বেড়িবাধ নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১২/৬-এস হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন দায়িত্বাধীন কামারবাড়ি বাশবাগান নামক স্থান হতে ২৩,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় চশমা আটক করে। মাদরা বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস এর ১০-১৪ আরবি হতে ২০০-৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন দায়িত্বাধীন চান্দা মাঠ ও শ্মশান নামক স্থান হত ১,৩৫,০০০ ভারতীয় ঔষধ ও শাড়ি আটক করে। এছাড়াও, হিজলদী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৪/১-এস আরবি হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন দায়িত্বাধীন আম বাগান নামক স্থান হত ৩০,০০০ ভারতীয় শাড়ি আটক করে। সর্বমোট ৬,৮৫,৫০০/ (ছয় লক্ষ পঁচাশি হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। উদ্ধারকৃত এসব ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা এবং মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।