তালায় সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও অস্বস্তি চালসহ সকল নিত্যপণ্যে
সেকেন্দার আবু জাফর বাবু, তালা: তালা উপজেলার সর্বত্র ভরা শীতের মৌসুমী বাজারে উঠেছে পর্যাপ্ত সবজি। কমেছে সকল শীতকালীন সবজির দাম। স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। সবজি দাম কমলেও দাম কমেনি সকল নিত্যপণ্যর। বরং বেড়েছে চালসহ অনেক পণ্যের। নিরবে সিন্ডিকেট চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বাজার। যার ফলে প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সকল নিত্যপণ্যর।
উপজেলা সদর, পাটকেলঘাটা, জাতপুরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ১০টাকা, বেগুন ৩০টাকা, কুমড়া ২০টাকা, আলু ৩০-৩৫টাকা, মানকচু ৪০টাকা, বরবটি ৩০টাকা, পেঁপে ২০টাকা, টমোটো ৫০টাকা, শসা ৫০টাকা, কাঁচাঝাল ৬০টাকা, ওলকপি ৫টাকা, পেঁয়াজের কালি ২০টাকা, গাজর ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যর বাজার স্থিতিশীল রয়েছে মুসুরি ডাল ১৩০টাকা, বুট ডাল ১০০টাকা, সয়াবিন তেল ১৮৫টাকা, আদা ১০০টাকা, পেঁয়াজ ৭০টাকা, রসুন চায়না ২২০টাকা, শুকনা ঝাল ৪৬০টাকা আদা ১০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০-২১০টাকা, সোনালি ২৬০ এবং দেশি মুরগি ৫০০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১০০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মাছের দাম তুলনামূলকভাবে কম। আকারভেদে রুই ২৪০ থেকে ২৭০ টাকা, কাতল ২৪০ থেকে ৩২০টাকা, মৃগেল ২০০-২৫০টাকা, আকারভেদে পাঙ্গাস ১৪০-২০০টাকা, তেলাপিয়া ৯০-১৬০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৯০০-১২০০ টাকা, গলদা ১৪০০-১৫০০ টাকা, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৩৮০ থেকে ৪০০টাকা, ভেটকি ৭০০-৮৫০টাকা, পারসে ৬০০-৭০০টাকা, টেংরা ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা রমেশ দাস বলেন, সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে। কিন্তু সকল নিত্যপণ্যর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রয় ক্ষমতার বাইরের বাজারের সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সরকারের নজরদারি করা উচিত, না হলে গরীব মানুষ না খেয়ে মরবে।
আরেক ক্রেতা আব্দুর রহমান শেখ বলেন, দ্রব্যমুল্যর উর্দ্ধগতিতে যা ইনকাম করি ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেল, আটা এগুলো সরকারকে নজরদারিতে এনে ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে আনতে হবে। আমাদের একটাই দাবি দ্রব্যমূল্যর দাম কম চাই।
তালা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ মুনছুর আলী বলেন, বাজারে সবজির দাম কম দামে ক্রয় করলেও অন্যান্য পণ্যের দাম না কমায় তা কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন বলেন, কিছুদিন আগেও সবজির দাম চড়া ছিল। তবে বর্তমানে তা একেবারে কমে গেছে। তবে অন্যান্য নিত্য পণ্যর দাম না কমায় ক্রেতারা কিছুটা হতাশ হচ্ছেন।