অনলাইনঅপরাধকালিগঞ্জসাতক্ষীরা জেলাস্বাস্থ্য

নলতা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়ক আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

গত ১৭/১১/২০২৪ তারিখে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত সি এস সাত/ সা:/১/২০২৪ /-২৪৫৬ নং স্মারকে গঠিত দেবহাটা উপজেলার আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নিপা রানী ঘোষ, প্রধান অফিস সহকারী আব্দুর রাশেদ এবং কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি ডাঃ ইয়াসিন আলম বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় নলতা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।

তদন্তের সময় উপস্থিত থাকা ৯ জন নারী ও পুরুষ প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট থেকে ঘটনার বর্ণনা এবং লিখিত সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তবে তদন্তের আগে সাক্ষীদেরকে ভয়-ভীতি এবং আব্দুল হাকিমের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সাক্ষীদের সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য মারমুখি আচরণ করেন। ঐ সময় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে তদন্তকারী দল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত হলে হাকিমের ক্যাডার বাহিনী উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যায়। গত ৯ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে নলতা বাগমারী গ্রামের জনৈক ব্যবসায়ী আব্দুর রাশেদের কন্যাকে ধর্ম বোন এবং স্ত্রীকে মা বানিয়ে ২ জনের সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়া নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে সিভিল সার্জনের।

উক্ত খবরকে কেন্দ্র করে সিভিল সার্জন এর নির্দেশে তদন্ত দল বুধবার নলতা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী বাগ নলতা গ্রামের মনিরুল ইসলাম , শরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, রত্না , খুশি বেগমসহ একাধিক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানান ঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র দুই সন্তানের জনক অফিস সহায়ক আব্দুল হাকিম ২০১৮ সালে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।

তারপরও তার লাম্পট্য থেমে থাকেনি। বাগ নলতা গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের কন্যার সঙ্গে ধর্ম বোন পাতিয়ে প্রথমে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তার স্ত্রীকে ধর্ম মা ডেকে তার সঙ্গেও যুগল পরক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে গোপনে যাতায়াত করতে থাকে। বেরসিক জনতা তাদেরকে হাতেনাতে ধরার জন্য গত ৯ নভেম্বর রাতে পাহারা দিতে থাকে। ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ এবং তার কন্যা বাড়িতে না থাকার সুযোগে লম্পট আব্দুল হাকিম ওই ধর্ম মার বাড়িতে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে। পরে ওই নারীর স্বামীকে খবর দেয় স্থানীয় জনতা। ওই সময় উপায়ান্তর না পেরে আব্দুল হাকিমের সঙ্গে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে লম্পট আব্দুল হাকিম রাজি না হওয়ায় এবং ওই রাতে আমি আব্দুর রাশেদ বাড়িতে জায়গা দেবে না বললে তার ভাইয়েরা সাতক্ষীরা বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্বামী সন্তানদের হাতে পায়ে ধরে কয়েক দিন পর বাড়িতে এসে ওঠে।

তবে বুধবার তদন্তের সময় ঘটনার সবকিছু তার স্বামী স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান এবং লম্পট আব্দুল হাকিমের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। তদন্ত কার্যক্রমের সময় উৎসুক গ্রামবাসী সকাল থেকে নলতা উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভিড় জমাতে থাকে।

এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য আব্দুল হাকিম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান- আত্মীয়তার সুবাদে তাদের বাড়িতে গেলে পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা ডাঃ নিপা রানী ঘোষ সাংবাদিকদের জানান আপনাদের সামনেই তদন্ত সম্পন্ন হলো আমি যেটা পেয়েছি সেটা প্রতিবেদন আকারে জমা দেবো। যা ব্যবস্থা নেওয়ার সিভিল সার্জন স্যার নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *