শ্যামনগর

শ্যামনগরে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে সংবাদ সম্মেলন

শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার রমজানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল বারীর দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় উপজেলা প্রেসক্লাব হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রমজান নগর ইউনিয়নের টেংরাখালী যুব কল্যাণ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-মামুন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন,আমরা শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডের টেংরাখালী যুব কল্যাণ এসোসিয়েশনের যুব সমাজবৃন্দ হইতেছি।আমাদের এলাকাটি একাধিকবার প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিধ্বস্ত। অত্র এলাকাটি উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত বিধায় জোয়ার ভাটার প্রভাবে সরকারি খাস জায়গার উপর নির্মিত আমাদের “টেংরাখালী ফুটবল মাঠ টি অপূরনীয় ক্ষতিগ্রস্থ হইয়াছে। মাঠটি ভরাট সহ সংস্কারের প্রয়োজন। এলাকায় যুব সমাজকে ক্রীড়া মুখী করার লক্ষ্যে আমরা নিরলস ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু মাঠটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে আমরা চিত্তবিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষ চরম দারিদ্রসীমার মধ্যে বসবাস করে। যার কারনে আর্থিক অভাব অনাটনের কারনে মাঠটির অবকাঠামো উন্নয়নে কোন সহযোগিতার ব্যবস্থা করিতে পারি নাই। এই খেলার মাঠটি আমরা এলাকার যুব সমাজ সংস্কারের উদ্যেগ নিলে রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ০৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল বারী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা রুজু করেছে।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এই মিথ্যা মামলায় আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক আমরা এ মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সে ডাবল মার্ডার মামলা সহ নাশকতা মামলার বাদী হওয়ায় নিরীহ, সহজ,সরল ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার অজুহাতে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাছাড়া হত-দরিদ্র, ভূমিহীন ব্যক্তিদেরকে মাদার নদীর চর জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা ভুল বুঝিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে। গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী সরকার পতন হওয়ায় আমরা এলাকার যুব সমাজ যখন ঐ মাঠটি খেলার জন্য বেছে নিয়েছি, তখন মোঃ আব্দুল বারী পূর্বের ন্যায় মামলাটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আমাদের জব্দ ও হয়রানী করার কৌশল অবলম্বন করেছে।

বর্তমানে সে রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করে জামায়েত-শিবিরের রাজনীতির ছন্দবেশে বিভিন্ন প্রভাব খাটাচ্ছে। এই মাঠটি ব্যতীত আমাদের আর কোন খেলার মাঠ নেই। ইতিপূর্বে আমরা টেংরাখালী যুব কল্যাণ এসোসিয়েশনের পক্ষে মাঠটি সংস্কার করেছি। তাহাতে প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হইয়াছে।

তাহা ছাড়া মাঠের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি তাহার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। তাই আমরা আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে টেংরাখালী যুব কল্যাণ এসোসিয়েশনের সকল সদস্যদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট উর্দন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

যাতে সরকারি খাস জায়গার উপর নির্মিত মাঠটি বহাল থাকে এবং আ’লীগ নেতা কর্তৃক মিথ্যা মামলার দায় হইতে অব্যহতি পাইতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *