সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিজিবির ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি
গাজী হাবিব: আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব-২০২৫ উপলক্ষে সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য পাসপোর্ট ও ভিসাবিহীন অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া সীমান্ত এলাকার ৪৭টি পূজা মণ্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বিজিবি। এর অংশ হিসেবে দিন-রাত টহল, রেকি এবং মোবাইল পেট্রোল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
অদ্য (২৩ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় সীমান্ত এলাকায় টহল তৎপরতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও রেকিকরণ পরিচালিত হয়। পাশাপাশি আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিপক্ষ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সাথে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান এবং যেকোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড রোধে উভয় পক্ষই অধিকতর সজাগ থাকার বিষয়ে একমত হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ১৫টি বিওপি/ক্যাম্প ও একটি বেইজ ক্যাম্পের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী ৪৭টি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে পদ্মশাখরা এলাকায় ২টি, ভোমরা ১টি, গাজীপুর ৬টি, ঘোনা ৩টি, বাঁকাল ৪টি, বৈকারী ১টি, কুশখালী ৩টি, তলুইগাছা ২টি, কাকডাঙ্গা ৪টি, ঝাউডাঙ্গা ১৫টি, মাদরা ১টি, হিজলদী ২টি ও চান্দুরিয়া এলাকায় ১টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটি, প্রশাসন, পুলিশ ও আনসারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য ৩৩ বিজিবি একটি মনিটরিং সেলও গঠন করেছে।
ইতোমধ্যেই সীমান্তবর্তী পূজামণ্ডপগুলো উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো হচ্ছে। বিজিবি বিশ্বাস করে, তাদের ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতির কারণে এ বছরের শারদীয় দুর্গাপূজা সীমান্ত এলাকায় আনন্দময়, নিরাপদ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পরিণত হবে।