অপরাধআইন আদালতকলারোয়ালিডসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় বিজিবি’র অভিযানে প্রায় ১১ লাখ টাকার ভারতীয় পন্য ও ৬ হনুমান আটক

গাজী হাবিব: সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় এগারো লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল ও ৬ টি হনুমান জব্দ করেছে বিজিবি।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ ভোমরা, বৈকারী, কাকডাঙ্গা, মাদরা ও চান্দুরিয়া বিওপির সীমান্ত এলাকা থেকে এসব ভারতীয় মালামাল ও ৬ টি মুখপোড়া হনুমান আটক করে বিজিবি।

সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

বিজিবি অধিনায়ক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির পৃথক দুটি বিশেষ আভিযানিক দল সাতক্ষীরা সদর থানার লক্ষীদাড়ী নামক স্থান হতে ২৪ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ৩ বোতল ভারতীয় মদ ও ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী আটক করে। বৈকারী বিওপির একটি বিশেষ আভিযানিক দল ০৬ টি বন্যপ্রানী (মুখপোড়া হনুমান) ভারতে পাচারকালে আটক করে। কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক তিনটি বিশেষ আভিযানিক দল সদর থানার কেড়াগাছি এবং রাজ্জাকের মোড় নামক স্থান হতে ৩৭ বোতল ভারতীয় মদ ও ৭ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। মাদরা বিওপির পৃথক দুটি বিশেষ আভিযানিক দল কলারোয়া থানার রাজপুর নামক স্থান হতে ১৫ বোতল ভারতীয় মদ ও ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। এছাড়াও, চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ দল গোয়ালপাড়া নামক স্থান হতে ০৮ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে। যার সর্বমোট সিজার মূল্য ১০ লাখ ৪৪ হাজার ১শত টাকা।

বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান, সাতক্ষীরা সদরের সাতানী নামকস্থান দিয়ে বাংলাদেশ হতে ভারতে বন্যপ্রানী পাচার করবে এমন গোপন সংবাদ প্রাপ্তির পর বৈকারী বিওপির নায়েব সুবেদার মোঃ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় গোপনে অবস্থান নেয়। এ সময় চোরাকারবারীরা বিজিবি’র উপস্থিতি বুঝতে পেরে ০৬টি হনুমান খাঁচাসহ সাতানী পাকা রাস্তার উপরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত প্রতিটি হনুমানের মূল্য ৪০ হাজার টাকা হারে সর্বমোট ৬ টি হনুমানের মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমসে জমা ও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা এবং উদ্ধারকৃত বন্যপ্রানীর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।

উল্লেখ্য, চোরাকারবারী কর্তৃক উক্ত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করে বিজিবি। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *