কয়রায় খোকন মেম্বারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অভিযোগ
কয়রা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ওসমান গনি খোকনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় একটি কু-চক্রী মহল এ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লোটার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্মানহানীর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক লিখিত বিবৃতিতে প্রতিপক্ষের এ ধরনের হীন কর্মকান্ডের ব্যাখ্যাসহ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউপি সদস্য ওসমান গনি খোকন।
লিখিত বিবৃতিতে ইউপি সদস্য ওসমান গনি খোকন বলেন, ‘গত ২৪ শে অক্টোবর খুলনার দুটি সংবাদপত্রে আমার বিরুদ্ধে ‘কয়রায় খোকন বাহিনীর তান্ডবে তটন্থ নিরীহ এলাকাবাসী’ শীর্ষক শিরোনামে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সংবাদে আমার সম্পর্কে যেসকল অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও হয়রানীমুলোক। প্রকৃতপক্ষে গত (২০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ঘড়িলাল বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক র্নিবাচনে স্থানীয় ওহিদুজ্জামান খোকন ও মো. সাইদুল ইসলাম সভাপতি পদে র্নিবাচন করেন। এতে দুজনই সমসংখ্যক ভোট পাওয়ায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ওহিদুজ্জামান খোকন ও সাইদুল ইসলামকে দেড় বছর করে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দেয়া হয়। একইসাথে সিনিয়রিটি বিবেচনায় নিয়ে ওহিদুজ্জামান খোকন কে প্রথম দেড় বছর সভাপতির দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন না করায় প্রতিনিয়ত ঘড়িলাল বাজারে চুরি সংঘটিত সহ নানা বিশৃঙ্খলা ঘটতে থাকায় ব্যবসায়ীরা তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। গত ২২ শে অক্টোবর দিবাগত রাতে বাজারের জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে প্রায় ৪০টি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল চুরি যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা ওহিদুজ্জামানের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি নিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডতায় জড়ালে আমি উভয়পক্ষকে শান্ত করি। সেসময় তাকে মারপিট বা অপমানজনক কোন ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে ঘড়িলাল গ্রামের মহাসিন গাজীর ছেলে শহিদুল দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত থেকে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করে আসছে। তাকে ইতোপূর্বে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও সে মাদক ব্যবসা ছেড়ে ভালো পথে আসেনি। সম্প্রতি সে স্থানীয় জামাত গাজি নামের এক ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করে ও তার বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করতে গেলে জনসাধারণ তাকে ও তার অপর এক সহযোগীকে ধাওয়া দেয়। পরে জানতে পারি বাজারে সংঘটিত চুরির সাথেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
এ দু’টি বিষয় নিয়ে আমার প্রতিপক্ষ আমাকে সামজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় পতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা প্রকাশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে ওহিদুজ্জামান খোকন ও শহিদুল ইসলামকে মারপিটের মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচারও চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ঘড়িলাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিচয়ে বাজার থেকে চাঁদা উত্তোলনের যে অভিযোগও আমার বিরুদ্ধে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কেননা আমি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতিও নয় এবং আমার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে এধরনের কোন অভিযোগ কেউ করতে পারেনি।’
লিখিত বিবৃতিতে এ ধরনের হীন কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থেকে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান ইউপি সদস্য ওসমান গনি খোকন।