সাতক্ষীরায় দুই শিশুর বাল্যবিবাহে মোবাইল কোর্টে জরিমানা ও মেয়েকে তার অভিভাবকের হেফাজতে প্রেরণ
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরায় দুই শিশুর বাল্যবিবাহে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে মেয়েকে তার অভিভাবকের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় এ বাল্যবিবাহ দুটি বন্ধ করা হয়। সাতক্ষীরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির হস্তক্ষেপে সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ও কুশাখালী ইউনিয়নে দুই শিশুর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সাকিবুর রহমান বাবলা বলেন, আমরা জানতে পারি শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের কুচপুকুর এলাকার এক ১৭ বছরের কিশোরী পার্শ্ববর্তী কুশাখালী ইউনিয়ন বাউকোলা গ্রামের ও বি.কে বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করেছে। অভিযান চলাকালে ছেলে মেয়ে উভয়কে পথিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ কালে সত্যতা নিশ্চিত হয় প্রতিরোধ কমিটি। তাৎক্ষনিক বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, বেসরকারি সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স ও অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এসময় ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ইউএনও’র নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ সরকার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ছেলের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও বাল্যবিবাহ উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এসময় মেয়ের অভিভাবক একটি জন্মসনদ দেখায় কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায়, এই মেয়ের বয়স ১৫ বছর ১ মাস যা বাঁশদহা বাজারের একটি কম্পিউটার দোকান থেকে বয়স বাড়িয়ে নেয় ১৮ বছর করে এবং ছেলের বয়স ১৭ বছর ৪ মাস।
তাছাড়া, এ বাল্যবিবাহটি মেয়ের গ্রামের গোলাম সরোয়ার নামক এক মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছে বিবাহ ও নিবন্ধন করায় যা ভুয়া বলে নিশ্চিত হয়। এব্যাপারেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ম্যাজিস্ট্রেট।
পরে দুই শিশুর অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের কুফল বিষয়ে অবহিত করা হয় এবং ১৮ বছরের আগে বিবাহ নয় মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয় এবং মেয়েকে তার পরিবারের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।