শিক্ষাঙ্গনশ্যামনগরসাতক্ষীরা জেলা

সাত মাসেও শ্যামনগরের সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ

মোঃ ইসমাইল হোসেন: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন কর্তৃক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ষষ্ঠ শ্রেণী পাস সুফিয়ান গাজীকে নবম শ্রেণী উত্তীর্ণ দেখিয়ে জাল/ ভুয়া সার্টিফিকেটে তৈরি করে দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম ও অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন।
জাল সার্টিফিকেট ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বিগত ৭ মাস পূর্বে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার বারবার লিখিত অভিযোগ করেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে ,ইসমাইল হোসেন কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেননি জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার। প্রধান শিক্ষক হোসেন জে,এস,সি পরীক্ষার সাল গুলো বাদে বাকি শাল গুলোর যে কোনো ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে অষ্টম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেট প্রদান করেন। বিদ্যালয়টিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত না পড়লেও অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায় সার্টিফিকেট। তার ওই প্রমাণ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালি গ্রামের নওশের আলম গাজীর পুত্র সুফিয়ান গাজী বিপুল অর্থের বিনিময়ে জাল/ভূয়া সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করছে অত্র প্রতিষ্ঠানে। সুফিয়ান গাজী ১৯৯৯ সালের ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হইয়া ১ম সাময়িক পরীক্ষা দেন কিন্তু দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা না দিয়ে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। ২০০০ সালে ৭ম কোন পরীক্ষা দেননি। ২০০১ সালে হিসাব অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার কথা থাকলেও তাকে নবম শ্রেণী পাস দেখি নিজ হাতে লেখা সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন। সুফিয়ান গাজী নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশন না করেও কিভাবে ৯ম শ্রেণী পাস সার্টিফিকেট পেয়েছে চাকরি করছেন সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী পদে প্রশ্ন জনমনে। কারণ সে সপ্তম শ্রেণী পাস করেনি। প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে আত্ম আত্মসাৎ করার অভিযোগে সাতক্ষীরা আদালতের তিনটি মামলাও হয়। একটি মামলার বাঁদিকে সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে মীমাংসা করে নিয়েছে। বাকি দুটি মামলা এখনো চলমান আছে। মামলা ২ টি যথাক্রমে -সি,আর-৬৬৯/২২ও সি,আর ৬৭০/২২। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা নাশকতা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে এবং তাহার কিছু গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হুমকি ধামকি এমনকি মারধরও করতো এমনও কয়েক ডজন অভিযোগ আছে এই সাবেক সভাপতি এসএম ইসলামের বিরুদ্ধে যেটি শর জমিনে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। এই বিষয়ে সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন কাছে জানার জন্য তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ,রবিউল ইসলামের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল এবং প্রধান শিক্ষক বলেন সে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ ম শ্রেণি পাস করছিল এবং তার বিরুদ্ধে অনৈতিক অভিযোগ সত্য নয়। অন্যদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল খায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনি মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সেখান থেকে আমাদের তদন্তর দায়িত্ব দিলে আমরা তদন্ত করতে পারি জাল সার্টিফিকেট এর বিষয়ে আমরা তদন্ত করে তাকে চাকরি চুতো করতে পারিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *