শিক্ষাঙ্গনশ্যামনগরসাতক্ষীরা জেলা

শ্যামনগরের খোলপেটুয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সম্পন্ন! শাস্তি দাবি এলাকাবাসীর

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: শ্যামনগরের গাবুরা ইউপির ১২২ নং খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার রুজুকরনের সরজমিন তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ১২২ নং খোলপেটুয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে স্থানীয় ২১ জন ব্যাক্তির উপস্থিতে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ শে আগস্ট একটি চিঠির মাধ্যমে দেলোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক), গাবুরা খোলপেটুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা এর বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ মোতাবেক বিভাগীয় মামলা রুজুকরণের সরেজমিনে তদন্ত করবেন বলে জানিয়ে দেন।

এবং ০৪/১২/২০২২ তারিখে স্কুলে না আসা,জেলে কার্ড করে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায়,স্কুলে দপ্তরী নিয়োগ দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের বিষয়ে তদন্ত করেন যার স্মারক ৩৮.০১.৮৭০০.০০০.০৪.০০৪.২০-২৪৩৭।

আশাশুনী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার গৌরাংগ গাইন তদন্ত করেন এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হুমায়ন কবির,স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ বাহার সহ ২১ জন গ্রামের সুশীল সমাজের লোকজন।

যানাযায় দেলোয়ার হোসেন নিজে গেজেট ভুক্ত সহকারী শিক্ষক হয়ে বিদ্যালয়ের একটি স্থান দখল করে রাখছে এবং প্রধান শিক্ষকের পদে মামলা করে রাখছে যাতে বিদ্যালয়ে ও পদে কেউ চাকরী না করতে পারে।

আবার দীর্ঘদিন অপকর্ম চালিয়ে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকার পতনের পর বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক পরিষদের নেতা পরিচয় দিতে শুরু করেছে।

এসময় অভিযোগ কারী হাবিবুল্লাহ আল মামুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ লিখিত জমা দেয় ও অভিযুক্ত শিক্ষক তার বিরুব্দে আানিত অভিযোগে বি পক্ষে লিখিত জমা দেন।

তদন্তকারী কারী কর্মকতা আশাশুনী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার গৌরাংগ গাইন বলেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করনের জন্য আমাকে তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে আমি সরজমিন তদন্ত করে নিরাপক্ষ ভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দেব ব্যাবস্তা তারা গ্রগন করবে।

অভিযোগকারী হাবিবুল্লাহ আল মামুন বলেন জেলে কার্ডের জন্য অর্থ গ্রহন করেছেন,ভূয়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং দপ্তরী নিয়োগ দেবে বলে দুইজনের কাছ থেকে ৫লক্ষ করে টাকা নিয়েছেন ও শ্যামনগরের ৭৩ বিদ্যালয় বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়েছেন, আমরা অতিদ্রুত তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারের হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিদ্যালয় এর জায়গা নিয়ে স্থানীয় একটি মহলের সাথে বিদ্যায়ের স্বার্থে সমস্যা হয়, এর পর থেকে আমার বিরুদ্ধে এসব করে বেড়াচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *