তালাসাতক্ষীরা জেলা

তালায় রাতের আঁধারে কপোতাক্ষ নদের বেড়ীবাঁধের মাটি কাঁটার অভিযোগ!

সেকেন্দার আবু জাফর বাবু, তালা: সাতক্ষীরার তালায় রাতের আঁধারে কপোতাক্ষ নদের বেড়ীবাঁধের মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কপোতাক্ষ নদের ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর স্লুইজগেট সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের বেড়ীবাঁধ থেকে এই মাটি কাঁটা হয়। ফলে এই বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের গোপালপুর স্লুইজগেটর পূর্ব পার্শে কপোতাক্ষ নদের বেড়ীবাঁধের মাটি কেঁটে
ছোট একটি রিং বেড়ী রেখে প্রায় ৪ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে গেছে । এসময় বেড়ী বাঁধের নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া বাঁধ রক্ষা ব্লক উপরে তুলে রেখে এই মাটি কাঁটা হয়েছে। জোয়ারের পানির চাঁপে যে কোনো সময় বাঁধটি ভেঙ্গে যেতে পারে। কোনো কারণে যদি বাঁধটি ভেঙ্গে যায় তাহলে ইসলামকাটি ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে। এই ঘটনায় এলাকা বাসির মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ইসলামকাটি ইউপি সদস্য ফেরদৌস সহ এলাকাবাসি বলেন, ইসলামকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আমাকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে এই মাটি কেঁটে নেয়া হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে এই চিকন বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। এই বাঁধ ভেঙ্গে গেলে এই ইউনিয়ন সহ আশপাশের ৪-৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে। সে কারণে এলাকাবাসির মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক বলেন, গোপালপুর এই স্লুইজগেট দিয়ে তালা উপজেলা সহ কেশবপুর ডুমুরিয়ার পানি নিষ্কাষন হয়। এই খাল যদি ভরাট হয়ে যায় তাহলে এই অঞ্চলের অনেক ইউনিয়ন প্লাবিত হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ অনেক বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা খালটি সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে কে বা কারা গোপালপুর স্লুইজগেট সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের বেড়ীবাঁধের মাটি কেটে নেয়া হয়েছে। কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন রোধে এই বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্লক তৈরী করে বাঁধ দিয়েছিল যাতে বাঁধটি ভেঙ্গে না যায়। সেই ব্লক উঠিয়ে অন্য জায়গায় রেখে মাটি কেঁটে নেয়া হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জেনেছি, তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজ কর্তৃপক্ষ এই মাটি কেঁটে নিয়েছেন।

প্রকল্পের সভাপতি তালা সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি নামে মাত্র সভাপতি, সকল কাজ করেছেন মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই বাইরে আমার কিছু জানা নেই।

ফোন রিসিভ না করায় তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *