শার্শায় জামাল হ ত্যা র রহস্য উদঘাটন, আ ট ক-২
হাসানূল কবীর, শার্শা: যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে জামাল হোসেন (২৫) নামে একজনকে হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং ২ জনকে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো- শার্শার বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ ও কলারোয়ার কাঁদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে প্রেস কনফারেন্সে নাভারণ সার্কেল’র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ৩০ মার্চ রাত ১০টার দিকে শার্শার ইছাপুর গ্রামে জামাল হোসেনকে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরদিন নিহত জামালের পিতা আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
সহঃ পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, তদন্ত চলাকালীন প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী আমানত উল্লাহ ও জাহিদ হোসেনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঘটনার দিন (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহিদ ভিকটিম মৃত জামাল হোসেনের বাড়িতে এসে তাকে মিন্টুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম জামাল ও আসামী জাহিদ একসাথে মিন্টুর মোটরসাইকেল নিয়ে শার্শা থানা এলাকায় আসে। রাত ১০টার দিকে জামাল হোসেন ও জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক উপজেলার শিবনাথপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে জাহিদুল (৩৫), বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবুর রহমান তবির ছেলে আলাউদ্দিন (২৫), মৃত গোলাম রসুলের ছেলে হাফিজুর (৪০), মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানতউল্লাহ (২৫), মৃত গোলাম রসুলের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) ও খালেকের ছেলে জুম্মান (২৪) হাতে কাঠের চলা ও রামদা নিয়ে ভিকটিম জামাল হোসেন এর মোটরসাইকেলটি থামানোর জন্য সংকেত দেয়। তখন জামাল হোসেন মোটরসাইকেল দ্রুত চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সাথে থাকা জাহিদুল কাঠের চলা দিয়ে ভিকটিমের গলায় আঘাত করে। তখন মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জামাল হোসেন রাস্তার পাশে একটি গর্তে পড়ে যায়। এসময় অন্যরা তাদের হাতে থাকা কাঠের চলা দিয়ে ভিকটিমকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।