অপরাধসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় সম্রাট গ্যালারি’র জুতা না নেওয়ায় ২ নারী ক্রেতাকে হেনস্থা

স্টাফ রিপোর্টা: সাতক্ষীরা শহরের থানা মসজিদ সড়কে অবস্থিত সম্রাট গ্যালারির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দোকানে আসা নারী ক্রেতার সাথে অশালীন ব্যবহার ও সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, জাতীয় দৈনিক ‘আলোকিত সকাল’ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর সরদার তার মা এবং বোনকে সাথে নিয়ে মায়ের জন্য জুতা ক্রয় করতে মার্কেটে যান। বিভিন্ন দোকান ঘুরে তারা সাতক্ষীরা সদর সার্কেল অফিসের সামনের থানা মসজিদ সড়কে অবস্থিত ‘সম্রাট গ্যালারি’তে যান। সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সরদার তার মায়ের জন্য ৪০ সাইজের একজোড়া জুতা পছন্দ করেন। কিন্তু মায়ের পায়ের সাইজ বড় হওয়ায় তিনি দোকানের সেলসম্যানদের এক সাইজ বড় অর্থ্যাৎ ৪১ সাইজের জুতার কথা বলেন। সেলসম্যান তাদের অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে পুনরায় ৪০ সাইজের জুতা আনে। এসময় সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সরদার দোকানের সেলসম্যানকে সাইজের কথা জানালে তারা বলে, ‘এটাই ৪১ সাইজের জুতা’। কিন্ত জাহাঙ্গীর সরদার জুতায় থাকা সাইজ সেলসম্যানকে দেখালে শুরু হয় তাদের অশালীন আচরন। সেসময় তার বোন কথা বললে তাকেও অপমান করা হয়। দোকানে থাকা ৬/৭ জন সেলসম্যান মারমুখী হয়ে তেড়ে এসে বলে- এ জুতা ই নিতে হবে। আমাকে চিনিস বলে হুমকি দিতে থাকে। দোকানের সেলসম্যানদের এমন আচরনে স্তম্ভিত হয়ে যান সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সরদারের মা। এসময় নিজেদের অসম্মান এড়াতে ওই’ জুতা না নিয়েই দোকানের বাইরে আসেন জাহাঙ্গীর সরদার। কিন্তু সম্রাট গ্যালারী নামক দোকানের ম্যানেজার আবুল হোসেন বিপত্তি বাঁধান। উচ্চারণ করেন আপত্তিকর শব্দ। নিজের মা- বোনের সামনে সাংবাদিক হয়ে এমন অপমান সহ্য করতে না পেরে মোবাইলে ভিডিও করা শুরু করেন জাহাঙ্গীর সরদার। সে সময় তেড়ে এসে ওই ম্যানেজার আবুল হোসেন মোবাইল কেড়ে নিয়ে দম্ভোক্তি করে বলেন, আমাকে চিনিস তুই, তোর মতো ১০ টা সাংবাদিক আমার পকেটে থাকে সব সময়’।

এ বিষয়ে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সরদার বলেন, বড় বোনসহ মা’কে সাথে নিয়ে মায়ের জন্য জুতা কিনতে গিয়েছিলাম সম্রাট গ্যালারিতে। জুতা পছন্দ হলেও সাইজে না মিললে ১০ মিনিট বসিয়ে একই সাইজের জুতা নিয়ে এসে বাধ্য করে নেওয়ার জন্য, না নিতে চাওয়ার আমার বোনকে ও মাকে হেনস্তা করে ও মারমুখী হয়ে হুমকি দিতে থাকে।

এ বিষয়ে জানার জন্য সম্রাট গ্যালারীর ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাই যে ছেলেটা খারাপ আচরণ করেছে সে আমাদের সেলসম্যান না। সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া আমাদের ঠিক হয়নি।

এদিকে, জাহাঙ্গীর সরদারের মত সহজ সরল ও নিরীহ প্রকৃতির সাংবাদিককে হুমকি ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনাসহ তার মা-বোনকে অপদস্থ করার কথা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ফেসবুক জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং সম্রাট গ্যালারি নামক ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্নজন বিরূপ মন্তব্য ছুড়ে দেয়। অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, তাদের ব্যবহার বরাবরই এরকম। কেউ কেউ সম্রাট গ্যালারি বয়কটের কথাও বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *