কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জের মৌতলায় রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম: তোপের মুখে কাজ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: কালিগঞ্জে মৌতলা জেলেপাড়া থেকে নেবুখালী ভায়া চাতরা কালভার্ট পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর প্রতিনিধি সজল রায়ের উপস্থিতিতে রাস্তা নির্মান কাজে ঠিকাদার নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

নিম্নমানের কাদা-বালু মিশ্রিত ইট ও ইটের খোয়া দিয়ে সাবগ্রেড করতে চাইলে স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন। এ সময় নিম্নমানের বালু, ইট ও ইটের খোয়া সরিয়ে নেওয়ার জন্য কালিগঞ্জের নাহার এন্টারপ্রাইজকে চিঠি দেন উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন।

অগ্রধিকার ভিত্তিতি পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় মৌতলা জেলেপাড়া থেকে নেবুখালী ভায়া চাতরা কালভার্ট পর্যন্ত ২০০০ (দুই হাজার) মিটার সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের বাজেট ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭ শত ২৭ টাকা। কাজ শুরুর তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এবং কাজ শেষের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২৪ সাল, কাজের মেয়াদ ৬ মাস হলেও তা আরও ৬ মাস আগে শেষ হয়েগেছে। সেকারনে নতুন করে কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি না করে তড়িঘড়ি সড়কটি যেনতেন ভাবে পায়তারা করে নিম্নমানের বালু, ৩ নম্বর ইট ও ইটের খোয়া সড়ক নির্মানে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠে।

স্থানীয়রা জানান, শুরু থেকেই কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলজিইডি এর উপপ্রকৌশলী সজল রায় ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাহার এন্টারপ্রাইজ বিভিন্ন সময় স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেছে সাথে সাথে অনেককে টাকা পয়সা দিয়ে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।

রফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন মৎস্যচাষী জানান, তারা ঘেরের পলীমাটি রাস্তায় তুলেদিয়ে, ৩ নম্বর ইট ও খোয়া ব্যবহার করে আমাদের ঠকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রাস্তার সাবগ্রেড ঠিক না হলে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে কোনভাবে টেকসই হবেনা।

মৌতলা জেলেপাড়া থেকে নেবুখালী ভায়া চাতরা কালভার্ট পর্যন্ত সড়ক নির্মানে বিলম্ব করায় স্থানীয়দের ভোগান্তির শেষ নেই। স্থানীয় কালুগাজীর বক্তব্য, আমরা এই রাস্তা দিয়ে ঘেরে যাই। এই বিলের মাছ দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানী করা হয়। রাস্তা নির্মানে বিলম্ব হওয়ার আমাদের সময় বেশী লাগছে খরচ বেশী হচ্ছে। সেকারনে আমরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, মৌতলা জেলেপাড়া থেকে নেবুখালী ভায়া চাতরা কালভার্ট পর্যন্ত সড়ক নির্মানে নিন্মমানের বালি, ইট ও খোয়া সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাহার এন্টারপ্রাইজকে চিঠি দিয়েছি। আশাকরি তারা ৩ নম্বর মালামাল সরিয়ে ১ নম্বর নির্মান সামগ্রী দিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *