সাতক্ষীরার লক্ষীদাঁড়ি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠক
গাজী হাবিব: সাতক্ষীরার লক্ষীদাঁড়ী সীমান্তে নজরুল ইসলাম গাজী নামের এক কৃষকের সীমান্ত সংলগ্ন জমি চাষে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারী) দুপুর ১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার লক্ষীদাঁড়ি সীমান্তের তিন নং মেইন পিলারের দুই ও তিন নম্বর সাব পিলারের মধ্যবর্তী শূন্যরেখা বরাবর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী ২০ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ পরিমাপের পর বিষয়টির চুড়ান্ত নিস্পত্তি হবে বলে জানানো হয়।
পতাকা বৈঠকে চার সদস্যের বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবি’র সাতক্ষীরার ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আশরাফুল হক। চার সদস্য বিশিষ্ট বিএসএফ এর নেতৃত্বে দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী ১৫২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমাণ্ডান্ট রমেশ কুমার।
লক্ষীদাঁড়ি গ্রামের শাহীন গাজী জানান, তার বাবা নজরুল গাজী তাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় এক বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ফসলের চাষ করে আসছেন। শনিবার (১১ জানুয়ারী) বিকেলে দুইজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে বাবা চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা বাধা দেন। ওই জমি ভারতের বলে তারা দাবি করে। বিষয়টি ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা জানতে পেরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানায়।
লক্ষীদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, ভোমরা সংলগ্ন লক্ষীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। সেই জমিতে শনিবার সকালে বোরো ধান রোপন করতে যান তিনি। এসময় বিএসএফ ও স্থানীয়রা তাকে ধান রোপন করতে বাঁধা দেন।ওই জমি ভারতীয় অংশের বলে আস্ফালনও করেন তারা। একপর্যায়ে তিনি ধানের চারা রোপন বন্ধ রাখেন।
পতাকা বৈঠকের পর সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের সুবেদার জহির আহম্মেদ ও ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, আপত্তিকৃত অংশ ব্যতীত অন্য জায়গায় চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে। আর আপত্তিকৃত জায়গায় আগামী ২০ জানুয়ারি তারিখে উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ পরিমাপের পর বিষয়টির চুড়ান্ত নিস্পত্তি হবে বলে একমত পোষণ করা হয়েছে।
তবে সাতক্ষীরা সীমান্তে কোন উত্তেজনা নেই বলে জানান ওই দুই বিজিবি কর্মকর্তা।