সাতক্ষীরায় বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় পন্য জব্দ
গাজী হাবিব: সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্ত থেকে বিজিবির অভিযানে ৩১ বোতল মদ, ৫০০ পিস ইয়াবা ও ৫৫ বোতল ফেনসিডিলসহ প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মালামাল জব্দ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের ভোমরা, বৈকারী, কালিয়ানী, কাকডাঙ্গা, মাদরা, হিজলদী এবং চান্দুরিয়া বিওপির সদস্যরা এ সব মালামাল আটক করে।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক মঙ্গলবার রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজিবি জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির সদস্যরা লক্ষীদাড়ি নামক স্থান হতে ১০ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
বৈকারী বিওপির সদস্যরা ছয়ঘরিয়া হতে ৫০০ পিস ভারতীয় ইয়াবা আটক করে।
কালিয়ানী বিওপির সদস্যরা ছয়ঘরিয়া হতে ২০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল আটক করে।
কাকডাঙ্গা বিওপির সদস্যরা কেড়াগাছি হতে ১০ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
মাদরা বিওপির পৃথক দুই দলের সদস্যরা কলারোয়ার ভাদিয়ালী মাঠ থেকে ৩৫ বোতল ফেনসিডিল এবং ৫ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
এছাড়াও, চান্দুরিয়া বিওপির সদস্যরা কলারোয়ার কাদপুর হতে ৬ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
কাকডাঙ্গা বিওপির সদস্যরা কেড়াগাছি হতে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
মাদরা বিওপির সদস্যরা ভাদিয়ালী হতে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
হিজলদী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল হিজলদী মাঠ হতে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল কাদপুর নামক স্থান হতে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। সর্বমোট ৭ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে বিজিবি।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, ৩৩ বিজিবির টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা এবং মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।
বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান, দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, চোরাকারবারী কর্তৃক উল্লেখিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় বিজিবির আভিযানিক দল তা জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।