আশাশুনির রাহি হ/ত্যা/য় আসামীর ফাঁ/সি/র দাবীতে গ্রামবাসির মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: আশাশুনি উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ি গ্রামের চাঞ্চল্যকর শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামমে রাস্তার উপর এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।
আগরদাঁড়ি রহিমীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন আগরদাঁড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর, আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিন, কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ছাকি পলাশ, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আঙুর, সোলায়মান আজিজী, ইয়াহিয়া সরদার, আবুল হোসেন বাবলু, নিহত রাহির মা সাবিনা খাতুন ও দাদী ফুলি বেগম।
বক্তারা বলেন, মাদক গোটা জাতিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ। রেজোয়ান কবীর জনি মাদকাসক্ত হওয়ায় সে সামান্য কিছু টাকার জন্য দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রাহির কানের দুল খুলে নিয়ে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। গ্রেপ্তারকৃত জনি আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাই দ্রুত বিচার আইনে মামলা নিষ্পত্তি করে আসামিকে ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরণের ঘটনা যাতে পূণরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সকলকে সজাগ হতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে ষাড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার শিশু রাহিকে বাড়ির পাশে হলুদ ক্ষেতে ডেকে নিয়ে স্বর্নের দুল খুলে দিতে বলে মাদকাসক্ত রেজোয়ান আহমেদ জনি (২২)। এতে সে অস্বীকার করে বিষয়টি বাড়িতে বলে দেওয়ার কথা জানালে রাহিকে হত্যা করে হাত পা বেঁধে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। পরে দুল দুটি বুধহাটা বাজারে বিক্রি করে দেয় ঘাতক জনি। হত্যার শিকার রাহি খাতুন (৯) আশাশুনি উপজেলার ৩নং কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ী গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রি। ঘাতক জনির বাড়ি একই গ্রামে। সে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। ঘাতক রেজোয়ান আহমেদ জনি মাদকাসক্ত। নেশার টাকা জোগার করার জন্য এমন নৃসংস হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতে ১৬ ডিসেম্বর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। সোনার দুল ক্রেতা অজয় পাইন সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।