শ্যামনগরে কৃষকদের নেতৃত্বে ধানজাত গবেষণার মাঠ দিবস
শ্যামনগর প্রতিনিধ: বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্টান বারসিক ও ধুমঘাট শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট গ্রামে কৃষক নেতৃত্বে প্রায়োগিক ধান গবেষনা প্লটের ১৬২ টি স্থানীয় জাতের আমন ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ৩টায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আয়োজনে ধুমঘাট চেরারচক (বিল) জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষাণী অল্পনা মিস্ত্রি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিডিও নির্বাহী পরিচালক গাজী আল ইমরান,বারসিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শিক্ষক রনজিৎ বর্মন,প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম,কামরুজ্জামান।আরো বক্তব্য রাখেন মাঠ দিবসের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারনা প্রদান করেন বারসিক কৃষিবীদ আবুল কালাম আজাদ, কৃষক নেতা হাবিবুর, বারসিকের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সাংবাদিক আবু সাঈদ, কৃষক ভুধর চন্দ্র মন্ডল, কৃষাণী মিতা রানী, কৃষক রফিকুল ইসলাম, কৃষক দেবীরঞ্জন মন্ডল, বনজীবী নারী শেফালী বিবি প্রমুখ।
মাঠ দিবেস স্থানীয় কৃষক-কৃষানী, কৃষক গবেষক দল, সবুজ সংহতি, বিভিন্ন পেশাজীবী জনসংগঠনের প্রতিনিধি, যুব, শিক্ষক, সাংবাদিক বৃম্দ, সরকারী প্রতিনিধি ও বারসিক স্টাফবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।এসময়,বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা নানান প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে যাচ্ছে তার মধ্যে ধান হলো উল্লেখযোগ্য। এই ধান আমাদের ঐতিহ্য – সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যেগুলো বারসিক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী সম্লিত ভাবে সংরক্ষণ করে যাচ্ছে এগুলো কৃষক থেকে কৃষক, গ্রাম সহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সম্প্রসারণ করার আহবান জানান।
মাঠ দিবসে শুরুতে অংশগ্রহনকারীরা কৃষক নেতৃত্বে ধানজাত গবেষণা প্লট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শণে এলাকা উপযোগী ধানের জাত নির্বাচন করেন বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যর উপর ভিত্তি করে। যে জাতগুলো লবনাক্ততা, জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এবং পোকামাকড়ের আক্রমন কম হবে, ধানের গাতুনী ঘন ও শিষের দৈঘ্য লম্বা এবং সময়কাল বিবেচনা করে তালমুগুর, কুটেপাটনাই, চারুলতা, চিনিকানি, পাটনাই,কলমিলতা, দারশাইল, নাইদারশাইল, নারকেল মুচি ধান নির্বাচন করেন। সাথে জাতগুলো এলাকার কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
ধুমঘাট গ্রামের কৃষক গংগারাম মিস্ত্রির তত্বাবধানে ৩৩ শতাংশ জমিতে ১৬২ টি স্থানীয় ধান জাত নিয়ে গবেষণা কাযক্রমটি পরিচালনা হয়।
সমগ্র অনুষ্টানটি সঞ্চালনা করেন বারসিকের কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ ও সবুজ সংহতির আহবায়ক কুমুদ রঞ্জন গায়েন।