অনলাইনসাতক্ষীরা জেলাসাহিত্য

গাজী হাবিব এর ছড়া: গাঁয়ের বাড়ির গল্প

গাঁয়ের বাড়ির গল্প
-গাজী হাবিব
তিনটে বিল তার সবজি ভরা
তিনটে হাটের মাঝখানে
চৌমুহনীর পাশে মাটির বাড়ী
ছড়িয়ে দিলাম সব কানে।

বাড়ির পিছে কাইলদার বিল
দক্ষিণে তার নেঙগী
সারা বছর সবজি ফলাই
করলা ঝিঙা বেঙগী।

উত্তরে আছে মুকুন্দ পুর
সামনে ফাঁকা বিল
বাড়ির উঠোন ধানে ভরা
গাছের উপর চিল।

পুকুর আছে একটা বড়
মাছেরা খায় চুম
সকাল বিকাল মাটির খাটে
আয়েশে দেই ঘুম।

মাইল দূরে বকর বিলে
সব জমিতে ঘের,
ইচ্ছে করে আগের মত
গরু চরাই ফের।

তিন মাইলের মাথায় আছে
বেলেডাঙ্গার বাজার,
বাঁশ না থাকলেও বাঁশতলাতে
বাস ছিল এক রাজার।

বিষ্ণুপুরের বাজারটাতে
আছে কতক দোকান,
সুযোগ পেলে অনেকে তাই
আছোলা বাঁশ ঢোকান।

ভোনদা বাবুর বাগানটা আজ
গাছ শূণ্য এক মাঠ,
যদিও গাছ আছে সেথায়
চোর ডাকাতের পাঠ।

এক সপ্তাহে তিনটে হাট
দু’দিন করে বসে,
ভাইয়ের হাটটা ভরা থাকে
খেজুর গাছের রসে।

চৌমুহনীতে সব পাওয়া যায়
নেঙ্গীর হাটে অল্প
কথায় কথায় দিলাম বলে
আমার গাঁয়ের গল্প।

যে গেরামে বাস করি মুই
নাম টা ফরিদ পুর,
শহর থেকে কিলো ষাটেক
নয়তো বেশি দূর।

আসবেন যারা বাড়ি আমার
হেলিকপ্টার চড়ে,
দেখবেন তারা ধানের ক্ষেতে
পানকৌড়ি বক ওড়ে।

পাড়া গাঁয়ের ছেলে আমি
সাতক্ষীরা শহর থাকি,
মাতা- পিতার মাটির ঘরে
বসতে দেবো ডাকি।

ওপারের ডাকে দাদা গেছে
দুই হাজার দুইয়ে দাদি,
দু’হাত তুলে খোদা’র কাছে
তাঁদের তরে কাঁদি।

এই দুনিয়ার জান্নাত আমার
পিতা-মাতা আছে,
ফরিয়াদ করি তাঁরা যেন
হাজার বছর বাঁচে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *