খানপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে দোকান ভাংচুর লুটপাট ও দু’জনকে পিটিয়ে আহত
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে জমি নিয়ে বিরোধ। আদালতের আদেশ অমান্য করে দোকান ভাংচুর লুটপাট ও দু’জনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ।
গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টসর দিকে সাতক্ষীরা সদরের খানপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী খানপুর এলাকার মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে মোঃ আক্তারুজ্জামান (৪৪) সাংবাদিকদের বলেন, চাচাতো ভাই মোঃ শামছুজ্জামান (৩৫), মোঃ কামরুজ্জামান (৩৯), মোঃ নুরুজ্জামান (৫০) এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
তারা আমার জমি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকলে আমি বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং-১৮৬৮/২৪ (সাতঃ), ধারা- ১৪৫ ফৌঃকাঃবিঃ। ওই মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। মামলা সংক্রান্তে সাতক্ষীরা সদর ভূমি অফিস হতে নায়েব তদন্ত করার জন্য ইং- ১৩ নভেম্বর বেলা ১২টারদিকে বিরোধপূর্ণ জমিতে যাই এবং তদন্ত করে। তদন্ত শেষে নায়েব ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর আদালতের আদেশ অমান্য করে চাচাতো ভাই মোঃ শামছুজ্জামান (৩৫), মোঃ কামরুজ্জামান (৩৯), মোঃ নুরুজ্জামান (৫০) সহ আরো ৫-৬ জন অস্ত্রধারী অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী আমার দোকানে হামলা ও লুটপাট করে। বাধা দিলে আমার ও আমার ছেলে রাসেল আহম্মেদকে বেধড়ক মারধর করে তারা। এসময় মোঃ শামছুজ্জামান আমার ছেলে রাসেল আহম্মেদ কে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় গামছা পেঁচাইয়া টান মেরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
মোঃ কামরুজ্জামান আমার ছেলে রাসেল আহম্মেদ কে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে মাথায় কোপ মারতে গেলে ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে ডান হাতের কনুইতে লেগে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। মোঃ নুরুজ্জামান সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা আমার ছেলে রাসেল আহম্মেদ এর বুকে পেটে পা দিয়ে দবাইয়া বেদনাদায়ক ফোলা জখম করে। আমি সহ আমার অপর ছেলে রাব্বি আহম্মেদ উক্ত ছেলেকে রক্ষা করিতে গেলে আমাদেরকেও মারপিট করপ আহত করে। কামরুজ্জামান আমার জামার পকেট থেকে ২৬,৭০০/- (ছাব্বিশ হাজার সাতশত) টাকা কেড়ে নেয়। এসময় তারা আমার টলের দোকানটি নিয়ে যায়। তারা আমার ছেলে রাসেল আহম্মেদ এর গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের ০১টি সোনার চেইন টান মেরে ছিড়ে নেয়। আমার দোকান থেকে সিগারেট, বিস্কুট সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। আমারদের ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ও পথচারীরা ছুটে আসলে তারা দোকান ঘর (কাঠের তৈরী টল) নিয়ে তারা আমাদের খুন জখম করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তারা আমাকে ও আমার ছেলে রাসেল আহম্মেদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এবিষয়ে আমি মোঃ আক্তারুজ্জামান বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামিনুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।