সাতক্ষীরার বাঁশদহায় বাজারের গুদাম ঘরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক-১
স্টাফ রিপোর্টার: নতুন ব্যাগ দেখানোর কথা বলে সাতক্ষীরায় নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে কসমেটিকস এর গুদাম ঘরে আটকে ব্যবসায়ী কর্তৃক ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৩ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতা ওই ব্যবসায়ী যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটককৃত যুবকের নাম মোঃ নাঈম ইসলাম (২৩)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে ও বাঁশদহা বাজারের নাঈম কসমেটিকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী।
ভিকটিম স্কুলছাত্রীর পিতা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর তার মেয়ে একটি ব্যাগ কেনার জন্য বাঁশদহা বাজারের নাঈম কসমেটিকস সেন্টারে যায়। দোকানদার নাঈম পছন্দের ব্যাগ গুদামে আছে বলে তাকে সেখানে নিয়ে যায়। বিকেল তিনটার দিকে গুদামঘরের শার্টারের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকা মাত্রই ভিতর থেকে শার্টারের দরজা লাগিয়ে দেয় নাঈম। একপর্যায়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘণ্টাব্যাপি ধস্তা ধ্বস্তির একপর্যায়ে মেয়েটিকে ভিতরে রেখে সে বাইরে এসে শার্টারের দরজা লাগিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসে নাঈম।
তিনি আরো জানান, এসময় মেয়েটির চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ি বাজার কমিটি ও মেয়ের চাচাকে জানায়। মেয়ের চাচা আরো এক ঘণ্টা পরে খবর পেয়ে নাঈমের দোকান থেকে চাবি নিয়ে গুদামঘরের তালা খুলে। একপর্যায়ে তিনি (বাবা) ৯৯৯ এ ফোন করলে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ওই ভিকটিমকে উদ্ধার ও নাঈমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মেয়ের বাবা আরো জানান, কিছু টাকা নিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য বাঁশদহা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল ইসলামের মাধ্যমে তার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি রাজী হননি।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে নাঈম ঈসলামের নাম উল্লেখ করে বুধবার (২৩ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামী নাঈম ইসলামকে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নয়ন বড়ালের কাছে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।