কলারোয়ার দেয়াড়ায় যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত
এস এম ফারুক হোসেন, কলারোয়া: কলারোয়ার দেয়াড়ায় যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দেয়াড়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোঃ আমজেদ হোসাইন’র সভাপতিত্বে যুবসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।
ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মোঃ কবিরুল ইসলাম’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাতক্ষীরা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা ওসমান গনি, কলারোয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর, সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান মাওলানা কামারুজ্জামান, কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ, সেক্রেটারি মাওলানা শহিদুল ইসলাম, জেলা মাজলীসুল মুফাস্সিরীন এর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আলী, সাবেক শিবির নেতা শামসুল আলম বুলবুল, দেয়াড়া ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ তামজিদ হোসেন, সেক্রেটারি মোঃ আনারুল ইসলাম, শহিদ হাসান মিকদাদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের অপরাধ, আমরা সমাজে ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে সর্বপ্রথম যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যুব সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুব সমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় স্রোতের গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুব সমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমীরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুব সমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই, বরং সত্যের পতাকা উড্ডয়ন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে।
উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমরা এই ১৬ বছরে জামায়াত ইসলামীর ফাউন্ডার মজলুম জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযম, সাবেক আমীরে জামায়াত শহীদ মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, আ. কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী মিন্টু এবং কুরআনের পাখি শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমুল্লাহসহ অসংখ্য দায়িত্বশীল এবং নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। এই আওয়ামী সরকার গায়েবী ও বায়বীয় মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পেলাম, আমরা দেখলাম কোনো দায়িত্বশীলই এই ফাঁসি নিয়ে বিচলিত ছিলেন না। তারা হাসিমুখে আল্লাহর সান্নিধ্যে হাজিরা দেয়ার জন্য ব্যস্ত ছিলেন এবং ফাঁসির রশি গলায় জড়িয়ে আল্লাহর রঙে রঙিন হয়ে শহীদ হিসেবে আল্লাহর কাছে হাজিরা দিয়েছেন। এসব শহীদের অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আল্লাহর এই জমিনে দ্বীন কায়েমের জন্য ঘরে ঘরে ইসলামের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।
মাওলানা কামারুজ্জামান বলেন, যুগে যুগে প্রত্যেক নবী-রাসূলদের দ্বীন কায়েমের যে ত্যাগ কোরবানি রয়েছে, ইসলামে তা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। আর বিগত ১৬টি বছর আমাদের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে যারা যে ত্যাগ কোরবানি করেছেন তা বাংলার ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাগানের মালি যেমন তার প্রিয় ফুলটি বাগান থেকে তুলে নেয়, ঠিক তেমনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আল্লাহর জমিনে দ্বীন কায়েমের জন্য তার পছন্দের মানুষদেরই শহীদ হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন।