৬দিন পর ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
স্টাফ রিপোর্টার: দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ৬দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে ওই ৬দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক ছিল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের আসা-যাওয়া।
এদিকে টানা ৬দিন ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে সাতক্ষীরার কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের বাজার। পাইকারি বাজারে ১৪০টাকা থেকে ১৬০টাকা দরের কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজি। একই ভাবে কেজিতে ১০ থেকে ১৫টাকা বেড়েছে দেশী ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম।
ভোমরা কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক জানান, টানা ৬দিনের বড় ছুটির কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ব্যাপক কর্মতৎপরতা। সকাল থেকে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। কাঁচা মরিচ পেয়াজসহ নানা কাঁচাপণ্যের ট্রাক ঢুকতে দেখা গেছে বেশি।
ভোমরা স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. রুহুল আমিন জানান, দুর্গাপূজার ছুটির বিষয়টি ভারত পারের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা আমাদের দপ্তরকে অবহিত করে। উভয় দেশের সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত মোতাবকে বন্দরের কার্যক্রম ১৪অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। পুরোদমে শুরু হচ্ছে বন্দরের সব ধরণের কার্যক্রম।
ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নকিব জানান, পূজার ছুটির সময় টানা ৬দিন বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের পারাপার সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল।
এদিকে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি আড়তে গিয়ে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজ ১১০টাকা ও ভারতীয় আমদাকিৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও পাইকারি বাজাওে অমদানিকৃত এলসির কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০টাকা থেকে ১৬০টাকা কেজি। এসময় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ পাইকারি দাম থেকে কেজিতে ৫০ ও পেঁয়াজ ১০টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি আড়তদার মনিরুজ্জামান মুকুর জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ৬ দিন ভোমরা বন্দরে আমদানি বন্ধ থাকায় সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। পঁচনশীল দ্রব্য হওয়ায় এটি মজুদ করে রাখা যায়না। সে কারণে ব্যবসায়িরা বেশি পেঁয়াজ না রাখায় বাজারে দামের উপর প্রভাব পড়েছে। আবার গাড়ি ঢোকা শুরু হলে আগামী ২/১দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।