শ্যামনগরে প্লাস্টিকের ব্যবহার ও নদী দূষণ বন্ধে শপথ নিলেন জলবায়ু কর্মীরা
সুলতান শাহাজান, শ্যামনগর: ‘নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ, আমার সোনার বাংলাদেশ‘, ‘প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ করি, নদী দূষণ বন্ধ করি’ এই স্লোগানে সমবেত কন্ঠে এলাকার নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার শপথ নিয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের জলবায়ু কর্মীরা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে বুড়িগোয়ালিনীর খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে ইকো-মেন প্রকল্পে আওতায় পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট জাস্টিসের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ এনভায়রমেন্ট এন্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) এর সহযোগিতায় ঐ সামাজিক প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে তারা এ শপথ বাক্য পাঠ করেন।
এর আগে উপকূলের যুব ও শিক্ষার্থীরা খোলপেটুয়া নদীর তীরে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন তুলে বস্তা ভরে তা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দেন। এরপরে নদীর পাশের ব্যবসায়ীদের খোলপেটুয়া নদীতে দূষিত পানি, প্লাস্টিক ও কোনো ধরনের আবর্জনা না ফেলতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, প্লাস্টিক নদীত ফেললে নদীর ক্ষতি হয় এটা আমাদের এই এলাকার মানুষের মধ্যে তেমন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় না। তবে আজ কিছু ছেলেরা এসে আমাদেরকে বুঝিয়েছে নদীতে প্লাস্টিক ফেললে অনেক ক্ষতি হয়। আমরা সেগুলো বুঝেছি এবং আজ থেকে আমরা আর নদীতে প্লাস্টিক ফেলবো না।’
শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করবেন। আমরা তার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সচেতন করছি, যাতে তারা ক্ষতির শিকার না হয় এবং নদীগুলো ভালো যাতে ভালো থাকে।’
ইকো-মেন প্রকল্পের জেলা সমন্বয়ক হাফিজুর রহমান বলেন, নদী একটি দেশের রক্ত কনিকার মতো কাজ করে। নদী না থাকলে প্রাণ-প্রকৃতি বাঁচবে না। সেদিক থেকে আমরা আমাদের এ অঞ্চলের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখতে নিয়মিত মনিটরিং করব। এতে সকলের সহযোগিতা চাই।
ইয়ুথনেট ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট জাস্টিসের সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক ইমাম হোসেন বলেন, শ্যামনগরে আমরা ইকোমেন প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ সুরক্ষায় প্রতিনিয়ত কাজ করছি। সেদিক থেকে আমরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের নদীগুলোকে আমরা রক্ষা করতে চাই। নদী দূষণ বন্ধে স্বেচ্ছাশ্রমে আমরা এখানে ডাস্টবিস নির্মান করার জন্য আমরা চেষ্টা করবো। লোকজন যেন নদীকে নোংরা না করে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেব।