গাবুরার মেগা প্রকল্পের সিমেন্ট চুরির ভিডিও ধারণের অভিযোগে কলেজ ছাত্রকে মারপিট
সুলতান শাহাজান, শ্যামনগর: শ্যামনগরে মেগা প্রকল্পের সিমেন্ট চুরির ভিডিও ধারণের অভিযোগ তুলে আশিক হোসেন (২০) নামে এক শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলে মিজানসহ সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ১৫/১৬ সদস্য এ কান্ড ঘটায়।
আশিক উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নং সোরা গ্রামের সিদ্দিক গাজীর ছেলে। সে উপজেলার সরকারি মহসীন কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র। ঘটনার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি উপকুল রক্ষা বাঁধ সুরক্ষার জন্য চলমান মেগা প্রকল্পের একটি প্রজেক্ট থেকে শতাধিক ব্যাগ সিমেন্ট চুরি হয়। ঈগল নামীয় একটি কোম্পানী হরিশখালী এলাকায় প্রায় আড়াই লাখ ব্লক তৈরীর ঐ কাজের দায়িত্বে রয়েছে। আব্দুস সাত্তার উক্ত প্রজেক্টের নৈশপ্রহরী ও মিজান ‘কিউরিংমান’ হিসেবে দায়িত্বরত।
স্থানীয়রা আরও জানায়, মঙ্গলবার ও বুধবার আব্দুস সাত্তার ও মিজানসহ কয়েকজন মিলে শতাধিক ব্যাগ সিমন্টে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এসময় স্থানীয় কিছু তরুন সেসব দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পর মটর সাইকেলযোগে আশিক বাড়িতে যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা তাকে রাস্তার মধ্যে আটকে বেপরোয়া মারপিট করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী অভিযোগ করেন ম্যানেজার হাবিবুর রহমান সাত্তার ও তার সহযোগীদের সহায়তায় শত শত ব্যাগ সিমেন্ট বাইরে বিক্রি করছে।
আশিকের পিতা সিদ্দিক গাজী জানান, তার ছেলে কোন ভিডিও ধারণ করেনি। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে লাঠিশোটা দিয়ে পিটিয়ে তাকে মারাত্বকভাবে আহত করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের প্রধান আব্দুস সাত্তার বলেন, কিছু সিমেন্ট নষ্ট হওয়ায় ম্যানেজার সেগুলো পানিতে ফেলে দিতে বলে। বাধ্য হয়ে অব্যবহৃত সিমেন্টগুলো স্থানীয়দের মাঝে বিলি করা হয়।
প্রজেক্ট এক্সিকিটিভের দায়িত্বে থাকার দাবি করে ঈগলের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, কিছু সিমেন্ট নষ্ট হযেছে। তাই সেগুলো ফেলে দিতে বলা হয়।
স্থানীয় গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, বিষয়টি রাতে জানতে পেরেছেন। সিমেন্ট চুরির ঘটনা ভিডিও ধারণের অপরাধে মারপিটের বিষয়টি মেনে নেয়া হবে না।