তালা

তালায় অজয় ঘোষের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ, জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া!

স্টাফ রিপোর্টার: তালা উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক অজয় কুমার ঘোষ এর বিরুদ্ধে সাম্প্রতি কয়টি পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বিগত ২০২০ সালে একটি এডিট করা অডিও রেকর্ড ভাইরাল হলে তৎকালীন তালা উপজেলার হাজার হাজার জনতা এবং বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হয়।

অজয় কুমার ঘোষ এবিষয়ে সাংবাদিদের, বলেন একটি মনগড়া বানোয়াট ভিত্তিহীন অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মুল ঘটনা হচ্ছে ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের সুযোগে আমি ভারতীয় তালিকাভূক্ত বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায়
একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যাদের সাথে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তারা ২০০৩ সালের মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি করেছেন।২০০৩ সালের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ২০২০ সালে তৈরী করা যায় কি না এটা আমার বোধগম্য নয়।

জাল দলিলের তৈরীর বিষয়ে তিনি বলেন, মহামান্য আদালত জাল না বলা পর্যন্ত কেউ জাল বলতে পারেন না। চাকরি জীবনে আমি কোনো দূর্ণীতির সাথে জড়িত নই। কাজের ক্ষেত্রে আমার দূর্ণীতির প্রমান করতে পারলে আর চাকরি করব না।

তিনি বলেন, আমার পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা ও সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে এ নিউজ করিয়েছেন। এবিষয়ে আইনীলড়াই করার প্রাথমিক কাজ শেষ করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে উপজেলা সমবায় অফিসার কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কখনো দুর্নিতি বা অনিয়মের অভিযোগ করেনি। সে একজন দায়িত্বশীল, দক্ষ এবং নিষ্ঠাবান কর্মচারী।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দীন ও সাবেক ডিপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার বলেন, অজয়ের বিরদ্ধে মুল অভিযোগটি সত্য নয়। কারন তারা মুক্তিযোদ্ধার যে জাল সনদে চাকরি পেয়েছিলেন তা ২০০৩ সালের। ২০০৩ সালের সাটিফিকেট কোনো ভাবে আবার ২০২০ সালে করা যায় না। আমার জানা মতে এসময় অজয় বাইরে চাকরি করতো। আমি যতদুর জানি উক্ত অডিও রেকর্ডটি একটি মামলাকে কেন্দ্র করে। তবে এই ২০০৩ সালের জাল সাটিফিটের তৈরীর সাথে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা দরকার।

তালা উপজেলার বিশিষ্ট সমবায় নেতা শেখ রহমত আলী, দিবস চন্দ্র ঘোষ সহ অনেকেই বলেন, অজয় একজন দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকার লেনদেন সম্পাদিত । তার মধ্যে কোনো প্রকার দূর্ণীতি আমরা পাইনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সাধারন সম্পাদক ও তালা
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় বলেন, আমার জানা মতে অজয় কুমার ঘোষ কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। তবে তার পিতার আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।

ললিত মোহন সাহার পুত্র প্রতাপ কুমার সাহা বলেন, ২০০৩ সালের একটি সাটিফিকেট তৎকালীন ধানদিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তবিবুর রহমান একটি জাল সার্টিফিকেট দেন। এই সাটিফিকেটের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়। এসময় সে আমাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। আমরা দিতে অস্বীকার করলে ২০১৮ সালে আমাদের বিদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। অজয় দাদার সাথে আমাদের পরিচয় ২০২০ সালের দিকে। আমার ভাইপো সুমনের সাথে তার যে অডিও রেকর্ড সেটি সম্পূর্ন ভূয়া এবং এডিট করা। প্রকৃত পক্ষে অজয় দাদার সাথে আমাদের কোন লেনদেন কোনদিন হয়নি। তবিবর রহমানের জালিয়াতির কারনে আজ আমরা দুই ভাই চাকরি হারিয়ে পথে পথে ঘুরছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *