কালিগঞ্জশিক্ষাঙ্গন

কালিগঞ্জ সদর এম খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ

মাসুদ পারভেজ কালিগঞ্জঃ সু-শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড এই আদর্শকে ধারণ করে উৎসবমুখর পরিবেশে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কালিগঞ্জ সদর এম খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে-২০২৫ সালের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গঙ্গা রানী’র সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক শেখ সিরাজুল ইসলামের’ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ওবায়দুল্ল্যাহিল আসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক সদস্য ও সাংবাদিক ফজলুল হক, সরকারি শিক্ষক হাসিব মেহেদী হাসান, আরিজুল ইসলাম, সুজন দত্ত ও নাজমুন নাহার।

এ সময় অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেসমিন আক্তার, মনিরা আক্তার, দীপক তরফদার, আব্দুল মজিদসহ অন্যান্যরা। এ বছর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে।

ফলাফল অনুযায়ী প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ২২ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। এদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে মারিয়া জামান, দ্বিতীয় লামিয়া সুলতানা ও তৃতীয় সামিয়া আক্তার। দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে ১৭ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। প্রথম তামিম ইকবাল, দ্বিতীয় মাহির আফসাব ও তৃতীয় আল রাফি।
তৃতীয় শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণীতে ২৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। প্রথম মোঃ মুয়াজ হোসেন, দ্বিতীয় মিনি সুলতানা ও তৃতীয় পূজা তরফদার। চতুর্থ শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে ২৬ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। প্রথম স্থান অর্জন করে মোহন বৈদ্য, দ্বিতীয় নুর আলিম ও তৃতীয় জান্নাতুল মাওয়া। পঞ্চম শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ২১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। প্রথম অংকৃশ দত্ত, দ্বিতীয় শাহিদা ও তৃতীয় মীর মজাহান। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মোহন বৈদ্য সর্বোচ্চ ৭৩৯ নম্বর অর্জন করে বিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি করেছে।

এ বছর বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সর্বমোট ১৬৭ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *