অনলাইনঅপরাধআইন আদালতসদরসাতক্ষীরা জেলা

পদ্মশাখরায় বিষ প্রয়োগে ১০৮টি কবুতর হ/ত্যা, এজাহার দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরায় বিষ প্রয়োগ করে ১০৮টি কবুতর হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আনুমানিক দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার খামারের মালিক মোঃ রায়হান কবির (২২) বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযুক্ত মোঃ ইসমাইল গাজীসহ (৩২) অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, পদ্মশাখরা ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকায় মোঃ রায়হান কবিরের বসতবাড়ীতে একটি বড় কবুতরের খামার রয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০০-এর অধিক বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর ছিল। খামারের অদূরেই, প্রায় ২৫০ গজ পশ্চিমে, অভিযুক্ত ইসমাইল গাজীর একটি সরিষার ক্ষেত রয়েছে।

রায়হান কবিরের অভিযোগ, তাঁর পোষা কবুতর মাঝে মধ্যে উড়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি ইসমাইল গাজীর সরিষার ক্ষেতেও বসত। বিষয়টি জানার পর থেকেই আসামী রায়হান কবিরের প্রতি হিংসার বশবর্তী হন এবং সুপরিকল্পিতভাবে কবুতরগুলোকে বিষ দিয়ে হত্যা করে তাঁকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার পরিকল্পনা করেন।

সোমবার, সকাল ৭টার দিকে রায়হান কবিরের খামার থেকে কবুতরগুলি উড়ে বাইরে চলে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর, সকাল ১০টার দিকে, স্থানীয় মোঃ আবুল হোসেন মানা (৪৫) একটি মৃত কবুতর নিয়ে রায়হানের বাড়িতে এসে জানায় যে, আসামীর সরিষার ক্ষেতে আরও অনেক কবুতর মরে পড়ে আছে এবং কিছু কবুতর ছটফট করছে।

খবর পেয়ে রায়হান কবির দ্রুত সরিষার ক্ষেতে গিয়ে দেখেন, তাঁর খামারের বিভিন্ন প্রজাতির (একশত আট) টি কবুতর ক্ষেতে দেওয়া বিষ খেয়ে মারা গেছে। এই কবুতরগুলোর আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। তিনি দাবি করেন, আসামী তাঁকে ক্ষতিগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে এবং কবুতরের খামারের প্রতি হিংসার কারণে অতি গোপনে সরিষা ক্ষেতে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করে তাঁর শখের কবুতরগুলো কৌশলে হত্যা করেছেন।

এ বিষয়ে আসামী ইসমাইল গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে বলেন, কবুতর মেরেছি বেশ করিছি, প্রয়োজনে তোর সব কবুতর আমি বিষ দিয়ে মেরে ফেলব, তোর কিছু করার থাকলে করতে পারিস। এই বলে তিনি রায়হান কবিরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

মোঃ রাসেল (২১) ও মোঃ মনিরুল ইসলাম (৩০) সহ আরও অনেকেই এই ঘটনা দেখেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রায়হান কবির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *