সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমান চোরাচালানি মালামাল জব্দ
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৩০ নভেম্বর ২০২৫) দিনভর পরিচালিত বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) সাড়ে ছয় লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় কাপড়, বোরকা ও বিপুল পরিমাণ ঔষধসহ চোরাচালানি মালামাল জব্দ করেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কুশখালী, কাকডাঙ্গা, মাদরা, চান্দুরিয়া বিওপি ও বাকাল বিশেষ চেকপোস্টের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় মালামাল পাচারের অভিযোগ রয়েছে। গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একাধিক আভিযানিক দল এদিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চোরাচালানি পণ্য আটক করতে সক্ষম হয়।
কুশখালী বিওপি: মেইন পিলার ১১/৫ এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খেজুরবাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২১,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় বোরকা জব্দ করা হয়।
চান্দুরিয়া বিওপি: মেইন পিলার ১৭/৭ এস এর ৪ আরবি এলাকা থেকে প্রায় ৩০০ গজ অভ্যন্তরে কলারোয়া থানার চান্দুরিয়া গ্রাম থেকে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করা হয়।
কাকডাঙ্গা বিওপি: মেইন পিলার ১৩/৩ এস এর ৫ ও ৬ আরবি এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে কলারোয়া উপজেলার গেড়াখালী ও ভাদিয়ালী এলাকা হতে ২,৫৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও বিভিন্ন প্রকার ঔষধ উদ্ধার করা হয়।
মাদরা বিওপি: মেইন পিলার ১৩/৩ এস এর ৮ আরবি পয়েন্ট থেকে প্রায় ১০০ গজ অভ্যন্তরের দক্ষিণ চান্দা গ্রাম থেকে ১,৪০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ জব্দ করা হয়।
বাকাল বিশেষ ক্যাম্প: সাতক্ষীরা সদর থানার আলীপুর এলাকা থেকে ১,৮০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ উদ্ধার করা হয়।
মোট জব্দকৃত মালামালের মূল্য ৬লাখ ৬৬ হাজার টাকা মাত্র।
বিজিবি জানায়, চোরাকারবারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সীমান্তপথ ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য দেশে প্রবেশ করিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে। এসব অবৈধ পণ্য দেশীয় বাজারে প্রবেশ করায় একদিকে স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, উদ্ধারকৃত সকল মালামাল আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সাতক্ষীরা কাস্টমসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

