যশোররাজনীতিশার্শাসারাবাংলা

শার্শায় জনসমাবেশে ডিবিসি টেলিভিশনকে সাক্ষাতকার দেন সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি

‎হাসানূল কবীর, শার্শা: ‎বেনাপোল দিঘিরপাড় ঈদগাহ ময়দানে বেসরকারী টিভি চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনকে ত্রায়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে হাজারহাজার মানুষের উপস্থিতিতে সাক্ষাতকার শেষে তিনি উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। ‎বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বেনাপোল দিঘিরপাড় ঈদগাহ ময়দানে উক্ত সাক্ষাতকার ও জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

‎জনসমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতাম। সেখান থেকেই আমি ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করি। এরপর আমি দলের বিভিন্ন পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করি। কেন্দ্রিয় বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকায় অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ এর উন্নয়ন করি। আমি এলাকার অনেক বেকার ছেলেমেয়েদের সরকারী চাকুরী পেতে সহযোগীতা করেছি। তার বিনিময়ে তাদের নিকট থেকে একটি পয়সাও নেই নাই। আমরা সঠিকভাবে বিগত ১৫টি বছর রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। আমাদের খুন গুম করার সুযোগ খুঁজেছে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকার। আমাকে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে ওই ফ্যাসিবাদি হাসিনা সরকার। এখন আমি মাঠে নামলে লোকজন দলেদলে দৌঁড়ে চলে আসছে। আমি এমপি হলে আগে যারা নানা মামলা হামলার শিকার হয়েছে তাদের পাশে থাকবো। পতিত সরকার এর আমলে আমাদের এই সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা আগে রোধ করবো।

‎তিনি আরো বলেন, সিরাজ শিকদার ছিলেন বামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতা। তিনি ছিলেন একজন মেধাবী শিক্ষিত রাজনৈতিক নেতা। শেখ মুজিবের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সিরাজ সিকদার যখন গর্জে উঠলো, দিনের পর দিন সবকিছু অচল করে দিতে লাগল, তখন তাকে গ্রেফতার করে শেখ মুজিবের নির্দেশে পাঁচটি গুলি করে হত্যা করা হলো। আর পবিত্র জাতীয় সংসদে অট্টহাসি দিয়ে শেখ মুজিব বক্তব্য দিল, সিরাজ সিকদাররা কোথায়? জাতিয় সংসদে এধরণের বক্তব্য দেওয়ায় শেখ মুজিবের মরোনোত্তর বিচার ও ফাঁসি হওয়া উচিত। সিরাজ সিকদার নিপিড়ীত নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যে নিজ সংসার আত্নীয়-স্বজন পরিবার-পরিজন আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে সমাজ বিপ্লবে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তখন এদেশের মানুষ বলাবালি শুরু করলো, শেখ মুজিব যদি মহান নেতা হন, দেশপ্রেমিক নেতা হন, তাহলে কি করে আর একজন দেশপ্রেমিক স্বর্বত্যাগি নেতাকে বন্দী অবস্থায় বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করলো। এই জঘন্য অন্যায় কলঙ্কর কথা পবিত্র পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কি ভাবে তিনি দম্ভের সাথে বলতে পারলো?

‎এসময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কুদ্দুস আলী বিশ্বাস, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, বেনাপোল পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাহাদুর রহমান খোকন, পৌর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইমদাদুল হক, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক. আল মামুন বাবলু‎সহ শার্শা উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *