কালিগঞ্জে স্কুলের যায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: কালিগঞ্জে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেকডিও যায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ। প্রতিকার চেয়ে ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এডহক কমিটি।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেকর্ডভুক্ত জমিতে অবৈধভাবে বসতবাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী। বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখল ঠেকাতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, পশ্চিম নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি এস.এ-৩/১ নং খতিয়ান, দাগ নং ৮৩৩ এবং বি.আর.এস খতিয়ান নং ১৮০৩, দাগ নং ১২০১-এর জমি বিদ্যালয়ের নামে নিবন্ধিত। কিন্তু স্থানীয় মৃত আহম্মাদ আলী গাজীর পুত্র মোঃ আনসার আলী গং ওই জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের উদ্দেশ্যে মাটি কেটে ইট-বালু মজুত করছেন। যে কোনো সময় সেখানে স্থায়ী ভবন নির্মাণের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।গ্রামবাসীরা জানান, বিদ্যালয়ের জমি রক্ষা করা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। একবার যদি অবৈধ স্থাপনা নির্মিত হয়, তবে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। এতে বিদ্যালয়ের মাঠ ও ভবনের জায়গা দখল হয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে ২৭ অক্টোবর সকালে পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের প্রায় ৭০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি স্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তাঁরা বিষয়টির দ্রুত তদন্ত ও অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু উপজেলা প্রশাসন নয় বিষয়টি শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল আশা প্রকাশ করেছেন, প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখলমুক্ত রাখা সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে।
অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, বিদ্যালয়ের জায়গাটি দখলের চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। আমরা ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করছি, প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা দ্রুতই বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে প্রাক্তন ইউপি সদস্য আনসার উদ্দিন বলেন, স্কুলের জায়গাটি আমরা দখল করে রেখেছি ঠিকই, তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে আমরা তা পরিষ্কার করে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাইনুল ইসলাম খান জানান, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, শিক্ষার আলোকবর্তিকা হিসেবে বিদ্যালয়ের জমি দখল কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

