অনলাইনতালাধর্মরাজনীতিশিক্ষাঙ্গনসদরসাতক্ষীরা জেলা

মাদরাসাতুল আল ফুরক্বানের বার্ষিক প্রীতি সম্মেলন ও হিফযুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড প্রদান

গাজী হাবিব: ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার বিকাশ, শিক্ষার্থীদের মননশীলতা বৃদ্ধি এবং হিফযুল কুরআনের শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদানের লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদরাসাতুল আল ফুরক্বান এর বার্ষিক প্রীতি সম্মেলন ও হিফযুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার সভাপতি প্রভাষক মোশাররফ হোসাইন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন, কলারোয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আশফাকুর রহমান বিপু এবং ইসলামী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আব্দুর রহমান।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ইসলামি সঙ্গীত ও নাত পরিবেশিত হলে মিলনায়তনে উপস্থিত শতাধিক অতিথি ও অভিভাবক মুগ্ধ হয়ে যান। ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব, মানবিক মূল্যবোধ, ও নৈতিক চেতনার বিকাশে শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট বক্তব্য উপস্থাপন করেন, যা দর্শকদের মাঝে গভীর প্রভাব ফেলে।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে। কুরআন হিফজ করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানোই মাদরাসা শিক্ষার মূল লক্ষ্য। তারা আরও বলেন, ইসলামী শিক্ষা জাতিকে ন্যায়ের পথে পরিচালিত করে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অনুষ্ঠানে হিফযুল কুরআন বিভাগে কৃতিত্ব অর্জনকারী ১২ জন মেধাবী হাফেজ শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মাননা সনদপত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তাদের গর্বিত পিতামাতার হাতে কৃতজ্ঞতার প্রতীক হিসেবে জায়নামাজ, টুপি ও হিজাব তুলে দেওয়া হয়।

পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মাদরাসাতুল আল ফুরক্বানের অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মাহামুদুল হাসান।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু কুরআন হিফজ করানো নয়, বরং এমন এক প্রজন্ম গড়ে তোলা যারা ইসলামী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষানুরাগী, অভিভাবক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *