অনলাইনঅপরাধআইন আদালতকলারোয়াজীবনযাপনতালাসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় চোলাইমদ ও গাঁজাসহ তিন মামলা, ১ জনকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড

গাজী হাবিব: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোলাইমদ তৈরির উপকরণ, চোলাইমদ ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে- এর মধ্যে দুটি নিয়মিত মামলা এবং একটি মোবাইল কোর্ট মামলা। মোবাইল কোর্টে একজনকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় একাধিক স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে মো. আব্দুর রহিম মোল্যা (৬৮)-কে গ্রেফতার করা হয় এবং অপর আসামি মো. আরিফুল রহমান (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণির ২৩ ও ২৪(গ) এবং ৩২(ক) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

নিয়মিত মামলায় আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে- তিনটি প্লাস্টিক ড্রামে প্রতিটিতে ২০০ লিটার করে মোট ৬০০ লিটার চোলাইমদ তৈরির উপকরণ ‘জাওয়া’। দুটি প্লাস্টিক কন্টেইনারে প্রতিটিতে ১০ লিটার করে মোট ২০ লিটার চোলাইমদ। একটি সাদা রঙের প্লাস্টিক কন্টেইনারে ৩০ লিটার ডিনেচার্ড স্পিরিট। নিয়মিত মামলাগুলোর মধ্যে একটি মামলার বাদী হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আকবর কলারোয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

অন্যদিকে, পৃথক অভিযানে রাজিব কুমার বাশফোর (৩০) নামে একজনকে ৬০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৪২(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কলারোয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি ঘটনাস্থলেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে রাজিব কুমার বাশফোরকে ১৪ (চৌদ্দ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ মামলার প্রসিকিউশন দাখিল করেন জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক জেসমিন আরা।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানা গেছে- জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে খুব কমই পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে মাদক কারবারী ও সেবনকারীরা দেদারছে জড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা মাদকের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন, আড্ডাখানা, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মাদকের ছোবল দাঁত বসিয়েছে।

তবে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদক পাচার ও উৎপাদন রোধে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *