কালিগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে বিজিবি সদস্যর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে পুজি করে দাবিকৃত ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কাজী আহসান নামে এক বিজিবি সদস্যের বাড়িতে ঢুকে মারপিট, ভাঙচুরঅ ও রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দাবিকৃত ৫ লক্ষ চাঁদার টাকা চাওয়ার আগে স্থানীয় আনসার ভিডিপি ক্লাবের সদস্য সাবেক ইউপি সদস্য রিয়াজুল ইসলাম বর্তমানে সদস্য কলিমুদ্দিন এবং মহিদুল ইসলাম বদু, আদর আলী চৌকিদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম গংরা কালিগঞ্জ উপজেলার গড়ের হাটখোলা নামক জায়গায় আনসার ভিডিপি ক্লাবের নামে ৩২ ইঞ্চি ১ টি রঙিন টিভি এবং চাঁদার নগদ ১৪ হাজার টাকা কাজী রফিকুল ইসলাম এর নিকট থেকে আদায় করে যা ছবিতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের প্রবাজপুর গ্রামের ভুক্তভোগী কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে বিজিবি সদস্য গত কয়েকদিন আগে ১ মাসের ছুটিতে বাড়িতে আসলে দাবি কৃত চাঁদার ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
গত রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের গড়ের হাটখোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী ভূমি মালিক বিজিবি সদস্য কাজী আহসানের পিতা কাজী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঐ সমস্ত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা অফিসার ইনচার্জ এবং সেনা ক্যাম্পে পৃথক পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগ পেয়ে সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা এবং থানার উপ পরিদর্শক নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে তদন্তে যেয়ে সত্যতা পায়।
পরে গত ১৫ অক্টোবর বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল ঘটনা স্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ বিজিবি সদস্য কাজী আহসানের পরিবারকে বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার জন্য পথের ব্যবস্থা করেন।
সূত্র মতে প্রবাজপুর গ্রামের বিজিবি সদস্য কাজী আহসানের পিতা কাজী রফিকুল ইসলাম গড়ের হাটখোলা নামক স্থানে আনসার ভিডিপি ক্লাবের পাশে জমি কিনে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। উক্ত জমি রাস্তার পাশে হওয়ায় আনসার ভিডিপি ক্লাব তৈরি করে কাজী রফিকুল ইসলামের পরিবারকে বাড়ি থেকে বেরোনের পথ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজি করে আসছিল। এরমধ্যে রাস্তার পাশে কাজী রফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে সরকারি খাস ১০ শতক জমি তার দখলে ছিল। ঐ জমির পাশে স্থানীয় মুকুন্দপুর গ্রামের প্রবাসী রবিউল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা খাতুন এবং তার মেয়ে একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রি রোজিনা খাতুন রাস্তার পাশে কিছু খাস জমি দখল করে রাখছিল।
এর মধ্যে মুকুন্দপুর মৌজার ১ খতিয়ানে ১৬৮০ ,১৬৮১ নং দাগের ১০ শতক সরকারি খাস জমি ১ সনা ইজরা প্রদান করেন। কেস নং ৫৭ /১৪৩২ ইজারা কেসে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অমিত বিশ্বাস তার অফিস থেকে ইজরা দেন। এ খবর শুনে ঐ চক্রটি আকলিমা খাতুন এবং তার কন্যা রোজিনা খাতুনকে লেলিয়ে দেয় যে উক্ত খাস সম্পত্তি তাদের দাবি করে দখলে নিতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেই মোতাবেক আকলিমা খাতুন এবং তার কন্যা রোজিনা খাতুন মারামারিতে লিপ্ত হয়ে গায়ে কাদামাটি মেখে আহত দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি সদস্যকে জড়িয়ে মামলার পাঁয়তারায় ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে চাঁদাবাজির মূল হোতা কলিম মেম্বারের একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী বিজেপি সদস্য কাজী আহসান জানান দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবারকে পথ আটকে গিয়ে অবরুদ্ধ করে যখন যেটা চেয়েছে আমার বাবা দিয়েছে । আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশের ১০ শতক খাস জায়গা আমরা সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে ভোগ দখলে আছি এসি ল্যান্ড সাহেব নিজে এসে আমাদের এই জায়গার দখল বুঝি দেন। এই খাস জায়গা দখলের জন্য এই দুই মহিলাকে ব্যবহার করছে আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করার জন্য। সে সমস্ত কল রেকর্ড আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। ইউএনও সাহেব এসেছিল আমাদেরকে একটা পথের ব্যবস্থা করে দিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছে। উপ পরিদর্শক নাজমুল জানান ইজারাকৃত সরকারি খাস সম্পত্তির দখল নিয়ে বিরোধ। তবে চাঁদাবাজির ঘটনার সত্যতা মিললেও কলিম মেম্বারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দু ,পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

