পাইকগাছায় ৫ বছরেও সংস্কার হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ, দুর্ভোগে দুইটি ইউনিয়নের মানুষ; সংস্কারের উদ্যোগ।
মোঃ খোরশেদ আলম, পাইকগাছা প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছা সীমান্তে ও তালার খেশরা সীমান্তের মধ্যেবর্তী একটি সেতুর এক পাশে ঠিক হলেও অন্যপ্রান্তে সংযোগ সড়ক গত ৫ বছরেও পুনর্নির্মাণ হয়নি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির সংযোগ সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকায় অবশেষে জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ, কাটিপাড়া বাজার কমিটি, স্থানীয় এলাকাবাসী ও খেশরা ইউনিয়নের সহযোগিতায় অবশেষে সংযোগ সড়কের কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কাটিপাড়া ও খেশরা ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদী। নদীর উত্তর পাড়ে খেশরা ইউনিয়নের শ্রীমন্তকাটি, একচড়ের বাজার, ডর ও জেটুয়া গ্রাম। আর দক্ষিণ পাড়ে বয়ে গেছে কাটিপাড়া, ষষ্ঠীতলা , বোয়ালিয়া , বাঁকা ও আরাজি ভবানিপুর গ্রাম। এই নয়টি গ্রামের অন্তত ২০থেকে ৩০ হাজার মানুষের যাতায়তের প্রধান অবলম্বন এই সেতুটি। গ্রামগুলোর বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী কৃষক। এ অঞ্চলে ধানের পাশাপাশি পাট ও নারকেল সহ বিভিন্ন ফললাদি উৎপাদন হয় অধিক হারে। শুধু তাই নয় এখানে রয়েছে কয়েকটি স্কুল ,পিসিরায় কলেজ ,স্যার পিসি রায়ের বাড়ি দেখতে আসেন বহু পর্যটকরা । এই সব কলেজ, স্কুলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ও পাট , নারকেল বিভিন্ন ফল-ফলাদি , বিক্রি করতে ও কাজের জন্য বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যেতে প্রধানত এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল না করায় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য মাথায় করে সেতু পার হাওয়া ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আশা – যাওয়া কঠিন কষ্টসাধ্য । এর মধ্যে বৃষ্টি হলে ছাত্রছাত্রীদের ও কৃষকদের দুর্ভোগের আর সীমা থাকে না।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর একপাশে সংযোগ সড়ক ভালো রয়েছে কিন্তু অন্য পাশে সংযোগ সড়ক না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পায়ে চলার পথের মত চিকন করে মাটি দিয়ে রাখা হয়েছে। অনেক উঁচু নিচু যে কারণে রিক্সা, ভ্যান, নসিমনসহ কোনো প্রকার যানবাহন ওই সেতুটি দিয়ে পারাপার হতে পারে না এমনকি স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন স্থানে কাজের মানুষ যারা রয়েছেন তাদের চলতে হয় । বৃষ্টি হলে মাটি সরে যায় ফলে পথ হয়ে পরে কর্দমাক্ত। তখন এই সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এমন উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও খেটে খাওয়া মানুষ , কাটিপাড়া বাজার কমিটি,খেশরা ইউনিয়ন ও জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ।
পাইকগাছা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে কাজ শেষ হয় । প্রায় ৪কোটি ৫৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৯১৮টাকা ব্যয়ে যাহার চেহনেজ ১২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪৫ মিটার (৫০ ফুট) প্রস্থ সিএসসি গাডার বিশিষ্ট এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
দুই ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য ১৫ বছর আগে কপোতাক্ষ নদীর ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুর উত্তর পাশের মাটি কেটে নির্মাণ করা হয় কাঁচা রাস্তা। পরে ওই রাস্তার ওপর ইট বিছিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচলে উপযোগী করে দেওয়া হয়।অথচ দক্ষিণ পাশে দীর্ঘ ৫ বছর অতিবাহিত হলেও আজও পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার হয়নি । কিন্তু এলাকাবাসী অন্তত ৫ বছর ধরে অপেক্ষা করে ছিল। এর মধ্যে আর সংযোগ সড়ক সংস্কার নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কতৃপক্ষ। তাই এমনটি উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় জনগণ ।
এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমি মোঃ ইমরান হোসেন ভেকু চালক আমি অতি উৎসাহিত হয়ে আমি এখানে কাজ করতে এসেছি । স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা তাদের দুর্ভোগ দুর্দশার কথা আমাদেরকে জানিয়েছেন। তারা দ্রুত সংস্কার ও টিটু কন্টাকটারের বিচারের দাবি জানিয়েছেন
কাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সালাম মোড়ল বলেন, পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি চেষ্টা চালিয়ে কোন লাভ হয়নি তাই এই উদ্যোগ নিয়েছি । টিটু কন্টাকটারের বিচারের দাবী জানায় । পিরআলী গাজী , শুকুর আলী, এসএম সামাদ হাসান, নয়ন মোড়ল, আশরাফুল, সাইফুল ইসলাম ,সালাউদ্দিন, বাবু বিশ্বজিৎ দেবনাথ ,আনিসুর রহমান, মফিজুল ইসলাম, হারুনর রশিদ ( রব) ,আনছার মোড়ল তাদের সবার মূখে একই দীর্ঘ পাঁচটি বছর প্লিজ কনটেকটার টিটু আমাদের ও আমাদের সন্তানদের দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে রেখে গেছেন । আমরা এর যথার্থ বিচার চাই আমরা নিজেরা যে সংস্কার করছি আমরা আমাদের টাকা কন্টাকটার টিটুর কাছ থেকে যাতে টাকা পায় তার জন্য প্রয়োজন হলে উদ্ধর্তন কর্মকর্তার কাছে আমরা যাব এমনকি ইউএনও নিকট আমরা আমাদের অভিযোগ তুলে ধরবো।