অনলাইনঅপরাধআইন আদালতকালিগঞ্জতালাশিক্ষাঙ্গনশ্যামনগরসাতক্ষীরা জেলা

কালিগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া রাজবাড়ী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা খাতুন (১২) অপহরনের ৩ দিন পার হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি করেছে।

অপহরনের শিকার খাদিজার বাবা জাহাঙ্গীর আলম লিখিত অভিযোগে জানান, তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো গত ৬ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সাধারণত প্রতিদিন দুপুর ২টার দিকে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু ওই দিন স্কুলে গেলেও আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো খোঁজ পাননি।

জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগে উল্লেখ করেন, শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কাদের বাউলিয়ার ছেলে মিজান বাউলিয়া তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। মিজান বাউলিয়া সৌদি আরবে থাকাকালে তার মেয়ের সাথে মোবাইলে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে খাদিজা জানতে পারে মিজান বাউলিয়া বিবাহিত। তার স্ত্রী ও সন্তান আছে। এ অবস্খায় মিজান বাউলিয়ার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে মিজান বাউলিয়া দেশে ফিরে এসে তার মেয়েকে স্কুলের পথ থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখেছে। তাছাড়া ০১৯২৪৬৮৮৪৯১ নম্বরের একটি মোবাইল ফোন থেকে বারবার কল দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।

অপহরনের শিকার খাদিজার বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার খুব্দিপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি পড়াশোনায় মনোযোগী ও শান্ত স্বভাবের ছিল। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে যেত।

এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তবে আমি ছুটিতে আছি। তদন্ত ওসির সাথে একটু কথা বলেন।

জানতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হারুন অর রশিদ মৃধা বলেন- আমি বিষয়টি এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। খোজ নিচ্ছি। বিস্তারিত জেনে তারপর জানাতে পারবো।

এদিকে, গত তিন দিনেও ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী অপহরনের শিকার হওয়া খাদিজার কোনো খোঁজ না মেলায় পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এলাকাবাসীও শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *