সাতক্ষীরায় জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক: ‘যুক্তির আলোয় জেগে উঠলো তরুণ প্রজন্ম’
স্টাফ রিপোর্টার: বিতর্ক মানেই যুক্তি, বিজ্ঞানে মুক্তি—এই স্লোগানকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মের মেধা, মনন আর যুক্তিবোধকে আলোকিত করতে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন-সমকাল আয়োজিত ১১তম জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব-২০২৫।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির মিলনায়তনে ছিল যুক্তির মেলা, বিজ্ঞানের আলোচনায় মুখর। তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠেছিল পুরো প্রাঙ্গণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দিলারা বেগম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অলোক কুমার ব্যানার্জি, নলতা আহসানিয়া রেসিডেনশিয়াল কলেজের অধ্যাপক মোমেনা খানম, কুমিরা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান, সাংবাদিক এসএম শহীদুল ইসলাম, সমকাল সুহৃদ-সমাবেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলামসহ জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুধিজনরা।
জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসবের সেমিফাইনালে অংশ নেয় চারটি প্রতিষ্ঠান- সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর (ডি.বি) মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সেমিফাইনালের মঞ্চে যুক্তির তর্ক-বিতর্কে উন্মোচিত হয় শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা ও সমকালীন চ্যালেঞ্জ নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি।
‘ক’ গ্রুপে বিতর্কের বিষয় ছিল- ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করছে” এবং ‘খ’ গ্রুপে আলোচ্য বিষয়- “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিমুখ করছে”। আর ফাইনাল রাউন্ডে উঠে আসে এক জরুরি সামাজিক প্রশ্ন- পলিথিন ব্যবহার বন্ধে আইন নয়, সচেতনতা বেশি জরুরি।
ফাইনালে উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী হয় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অতিথিবৃন্দ বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দিয়ে আগামী দিনের আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন- বিতর্ক শুধু প্রতিযোগিতা নয়, এটি এক অনন্য শিক্ষণপ্রক্রিয়া- এই উপলব্ধিই যেন শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে দীপ্ত হয়ে উঠেছে। তারা বুঝিয়েছে, যুক্তির শক্তি মানুষকে আলোকিত করে, বিজ্ঞান মানুষকে মুক্তি দেয়।

