সাতক্ষীরায় জমি বিরোধে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর বুকে লাথি: থানায় অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর বুকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী জসিম নামের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ মোট ৩ নারীকে ব্যাপক মারপিট করা হয়েছে। এতে জসিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আদালতে ১৪৫ ধারা ও ১৮৮ ধারায় মামলা চলমান থাকা জমিতে বিল্ডিং বাড়ী করতে গিয়ে সদর উপজেলার বাউকোলা গ্রামের মৃত সিরাজুল দর্জির ছেলে যুবলীগ নেতা মো. জসিম (৩৬), তার মা সেলিনা খাতুন (৬০), সহযোগী শরিফুল ইসলাম (৪০) এবং নাজমীন খাতুন (৩৫)কে নিয়ে অভিযোগকারীদের উপর হামলা চালায়।
এসময় তারা লাঠি ও ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং লাথি মেরে মারাত্মক আহত করে। এতে অভিযোগকারী জামায়াতকর্মী মিজানুর রহমানের স্ত্রী রেশমা খাতুন গুরুতর আহত হন। অভিযোগে বলা হয়েছে, যুবলীগ নেতা জসিম ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে থেঁতলানো জখম করে এবং কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এছাড়া জামায়াত কর্মী মিজানুরের ভাইয়ের স্ত্রী বিলকিস খাতুন, যিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তাকেও পেট ও পিঠে লাথি মেরে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তাদের ঠেকাতে এসে মিজানুরের মা মোমেনা বেগম (৬৫)ও মারপিটের শিকার হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার স্ত্রী ও ভাই আমিনুরের স্ত্রী এবং মা মোমেনা বেগমের ওপর হামলার সময় বাড়ীতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় হামলাকারিরা নারীদের বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানি করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুজিবর রহমান ও হাসান আলীসহ একাধিক স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জসিম নিজেকে বিএনপি’র লোক দাবি করে বলেন – ওরা আমাদের মেরেছে। আমরা কাউকে মারেনি। আমার মাকে মারার সময় আমি ঠেকিয়ে দিয়েছি মাত্র।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এএসআই সোহেল মোল্লা বলেন, ওই জমিতে ১৪৫ এবং ১৮৮ ধারার নোটিশ আমি জারি করেছিলাম। লিখিত অভিযোগ থানায় জমা হয়েছে কিন্তু আমি এখনো হাতে পাইনি। পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

