শ্যামনগরের সোয়ালিয়া প্রাইমারী স্কুলের সন্নিকটে রাবারের স্যান্ডেল পুড়িয়ে পিচ জ্বালিয়ে পরিবেশ দুষণ
জি এম আব্দুল কাদের, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার পৌরসভায় অবস্থিত ১৫নং সোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে রাবারের স্যান্ডেল পুড়িয়ে পিচ জ্বালিয়ে পরিবেশ দূষণ করার কারণে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বিগত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের জমিতে জমির মালিক মোঃ আমির আলি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাস্তা সংস্কারে পিচ জ্বালানোর কাজে জায়গাটি ব্যবহারের অনুমতি (লীজ) প্রদান করে। লীজ গ্রহীতা ঠিকাদার উপজেলার যেখানে যত পিচ ঢালাই করা হয় তার অধিকাংশ পিচ এই বিদ্যালয় সংলগ্ন ভূমিতে জ্বালানো হচ্ছে। পিচ জ্বালানোর সময় নিষিদ্ধ রাবার জুতা জ্বালিয়ে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত করে। উক্ত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বিদ্যালয়কে আচ্ছন্ন করে রাখে। যা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষক ও শিশুদের বেশিরভাগ শ্বাস কষ্ট ও চোখের রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কোমলমতি শিশুরা ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। তাদের চোখ জ্বালা সহ শ্বাস কষ্টের মতো মারাত্বক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে।শিশুদের অভিভাবকগণ তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাচ্ছেন না।
বিদ্যালয়ের লোহার আসবাব পত্র, গ্রীল সহ অন্যান্য অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে জমির মালিক আমীর আলীকে অবহিত করা হলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আরো কিছুদিন চলতে থাকলে এই বিদ্যালয়ের শিশুসহ শিক্ষক-কর্মচারী মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমতাবস্থায় দ্রুত বিদ্যালয়ের সন্নিকটে রাবারের জুতা পুড়িয়ে মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষণের কারণে স্থায়ীভাবে পিচ জ্বালানো বন্ধ করা আশু প্রয়োজন হয়ে পড়েছ।
অভিভাবকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন রাবার পোড়ানোসহ পিচ জ্বালানো বিষাক্ত কালো ধোঁয়া থেকে কোমলমতি শিশুসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের রক্ষার নিমিত্তে বিদ্যালয়ের সন্নিকটে পিচ জ্বালানো স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে দাবী জানিয়েছে। তা না হলে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠানো সম্ভব হবে না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে দায়িত্ব দিয়েছে এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি।
এবিষয়ে কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার যাকাউল্লাহ সাথে মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ রিসিভ করিনি।