অনলাইনজাতীয়জীবনযাপনসদরসাতক্ষীরা জেলাস্বাস্থ্য

সাতক্ষীরায় ১৮ কর্মদিবসে ৫ লাখ ৭ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে

স্টাফ রিপোর্টার: সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করা খুবই জরুরী। একটি সুন্দর জাতি গঠনের লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিনগুলো দিচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব প্রতিরোধ করে তালিকাভুক্ত সকল শিশুকে টিকার ক্যাম্পে আনতে হবে। এজন্য সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের সকলের সহযোগিতায় এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে হবে।

সাতক্ষীরায় শিশু, কিশোর -কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনামূলক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় জেলা পর্যায়ের মিডিয়া কর্মীদের অংশগ্রহণে সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ বিষয়ক দিনব্যাপী এক পরামর্শমূলক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত কর্মশালায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ- পরিচালক মো. আদম আলী ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইজুল হক।

কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর মাধ্যমে টাইফয়েড টিকাদন কর্মশালায় মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: ইসমত জাহান সুমনা ।

কর্মশালায় বলা হয়, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে সাতক্ষীরায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫ লাখ ৭ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। মোট ১৮ কর্ম দিবসের এই ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

সভায় আরো বলা হয়, ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার আছে। কিন্তু টিকা গ্রহণের মাধ্যমে যক্ষা, ডিফথেরিয়া, হাম রুবেলা, পোলিও, হুপিংকাশি, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। কাজেই সব ধরনের অপপ্রচার প্রতিরোধ করে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।

আশা করা যায়, তালিকাভুক্ত জেলার সকল বাচ্চাকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এজন্য সাংবাদিকরা প্রচারের জন্য এই টিকার গুরুত্ব তুলে ধরে টাইফয়েড ক্যাম্পেইনের খবর ও সফলতা স্থানীয় ও জাতীয় পত্র -পত্রিকাসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করে এই টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে ভূমিকা রাখতে পারেন। এ্যাডভোকেসি সভায় জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *