শ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১.২০ কোটি টাকার ভারতীয় ঔষধ জব্দ
স্টাফ রিপোর্টার: ভারত থেকে অবৈধ পথে প্রবেশ করা এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ঔষধ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মীরগাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঔষধগুলো উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. মুনতাসীর ইবনে মহসিন প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কোস্টগার্ড জানায়, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে একটি অসাধু চক্র ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ঔষধ বাংলাদেশে পাচার করতে যাচ্ছে। এ খবরের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন কৈখালীর একটি বিশেষ দল শুক্রবার বিকেলে মীরগাং ও আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে ফাঁদ পেতে রাখা অবস্থায় পরিত্যক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় আনুমানিক এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ। তবে চোরাকারবারিরা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ও স্বর্ণ পাচারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসবের পাশাপাশি ভারতীয় ঔষধ চোরাচালান নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পাচারকারীরা নদী ও খালের জলপথ ব্যবহার করে সহজেই পণ্য আনা-নেওয়া করছে।
চোরাকারবারিদের লক্ষ্য থাকে- বাংলাদেশের বাজারে অধিক চাহিদাসম্পন্ন, কিন্তু অনুমোদিত নয় কিংবা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা সস্তা ভারতীয় ঔষধ। এসব ঔষধ বিভিন্ন ফার্মেসি ও গোপন ডিলারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ হলেও কোনো পাচারকারীকে আটক করতে না পারায় স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে- চক্রটি কি আগেভাগেই খবর পেয়ে যায়? নাকি সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি সত্ত্বেও পাচারকারীদের জন্য এখনো ফাঁকফোকর রয়ে গেছে?
কোস্ট গার্ড জানায়, জব্দকৃত ঔষধের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা দায়ের বা জড়িতদের শনাক্ত করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
সীমান্ত এলাকার মানুষ জানান, এভাবে কোটি কোটি টাকার ঔষধ দেশে ঢুকছে অথচ পাচারকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। অনেক সময় সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কতিপয় সদস্যের সাথে চুক্তি করে পাচারকারীরা এসব ভারতীয় পন্য দেশে প্রবেশ করায়। নিয়মিত টহল বাড়ানো ও তথ্যদাতাদের আরো অধিক সক্রিয় করার মাধ্যমে এ ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধ সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।