অনলাইনরাজনীতিশ্যামনগরসাতক্ষীরা জেলাস্বাস্থ্য

কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে শ্যামনগরে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন

হাবিবুর রহমান সোহাগ: ভোরের আলো ফোটার আগেই শ্যামনগরের মালঞ্চ টেকনিক্যাল কলেজের মাঠে ভিড় জমতে শুরু করে। হাতে টোকেন, পুরনো রিপোর্ট, কেউবা অসুস্থ সন্তানকে কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছেন চিকিৎসা সেবার আশায়। বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক এমপি ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।

১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এই ক্যাম্প যেন এক উৎসবের আমেজ ছড়িয়েছে আশপাশের গ্রামগুলোতে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষজনের পদচারণায় প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভিড় কমছে না এক মুহূর্তও।

ক্যাম্পে চিকিৎসা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সাকির হোসেন স্বাদ, ডা. ইসরার আহমেদ, ডা. রিফাত জাহান (সার্জন) এবং ডা. মশিউর রহমান সহ আরো ১৩ জন ( বিশেষজ্ঞ ডাক্তার )। রোগীদের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনার পাশাপাশি তাঁরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন লিখে দিচ্ছেন।

সঙ্গে ফ্রি রক্ত পরীক্ষা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ বিতরণ করা হচ্ছে। এ সেবা নিতে নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে শুরু করে শিশুরাও লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

শ্যামনগরের দহবদিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, “ঢাকায় গিয়ে ডাক্তার দেখানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এখানে বিনামূল্যে ডাক্তার দেখানো ও ওষুধ পাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় সহায়তা।”

মুন্সীগঞ্জের একজন বৃদ্ধা রোগী আমেনা খাতুন বলেন, “এত মানুষের ভিড়েও ডাক্তাররা ধৈর্য ধরে সেবা দিচ্ছেন, এটা আমরা ওদের কাছে বড় পাওয়া।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, “গ্রামীণ জনপদের অসহায় মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত জরুরি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।”

উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, জনগণের কল্যাণে কাজ করাই বিএনপির অন্যতম অঙ্গীকার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় করবে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএনপি জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে শ্যামনগরের এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প যেন জনসেবার এক বাস্তব দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। চিকিৎসা নিতে আসা হাজারো মানুষই বলছেন—এই উদ্যোগ সত্যিই তাদের জীবনে আশার আলো হয়ে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *