সাতক্ষীরা-৪ কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর দাবীতে উপজেলা বিএনপির স্মারকলিপি প্রদান
তাপস কুমার ঘোষ, কালিগঞ্জ: সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের দাবিতে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলাকে একত্রে রাখার জন্য উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট ২০২৫) দুপুর ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক দুটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, সাবেক তথ্য বিষয়ক সম্পাদক এম. হাফিজুর রহমান শিমুল, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক শেখ শাহীন কবীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস. এম. রেদওয়ান ফেরদাউস রনি, বিএনপি নেতা শেখ আজাদ, বিএনপি নেতা হাসানুর রহমান, ইসমাঈল হোসেন এবং রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সম্পাদিকা তোহা প্রমুখ।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপকূলবর্তী উপজেলা শ্যামনগর ১৯৭০ সাল থেকে একটি পৃথক নির্বাচনী এলাকা হিসেবে পরিচিত। ২০০৮ সালের আগে পর্যন্ত শ্যামনগর উপজেলা এবং কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল মিলিয়ে সংসদীয় আসন ১০৮, সাতক্ষীরা-৪ বিদ্যমান ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে শ্যামনগর উপজেলা উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হয়।
তারা অভিযোগ করেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক খসড়ায় শ্যামনগর ও আশাশুনী উপজেলাকে একত্রিত করে নতুন আসন গঠনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা ভৌগোলিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে অযৌক্তিক। কারণ, শ্যামনগর ও আশাশুনীর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই, একাধিক নদী দ্বারা বিভক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবেন। তাছাড়া দুই উপজেলাই উপকূলবর্তী হওয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উন্নয়ন কার্যক্রম থেকেও অনেকটা পিছিয়ে থাকে।
দাবির বিষয় স্মারকলিপিতে বলা হয়, আশাশুনি ও শ্যামনগরকে একীভূত করলে জনগণের যাতায়াত ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই জনগণের ভোগান্তি এড়াতে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করতে পূর্বের ন্যায় শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ) আসন বহাল রাখার জোর দাবি জানানো হয়।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের কাছে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।