আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ও নরেন্দ্র মুন্ডার মৃত্যু দিবসে শ্যামনগরে আলোচনা সভাসহ নানান কর্মসূচি
ইসমাইল হোসেন, শ্যামনগর: সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার আয়োজনে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ও শহীদ নরেন্দ্রনাথ মুন্ডার মৃত্যু দিবস।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার পূর্বে অনুষ্ঠিত হয় শোভাযাত্রা। শুরুতে শামসের সভাপতি গোপাল চন্দ্র মুন্ডা, নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা ও সমন্বয়কারী রামপ্রসাদ মুন্ডার নেতৃত্বে শতাধিক আদিবাসী. মানবাধিকার ও সমাজ কর্মীরা শহীদের প্রতিকৃতিতে নিবেদন করেন শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কৃষ্ণপদ মুন্ডা বলেন, ৯ই আগষ্ট প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবসটি এবছরও উলে¬খিত তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিবসটির মুল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ” আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যত গঠনে কৃত্রিম বৃদ্ধমত্তার সার্থক প্রয়োগ”। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতই বাংলাদেশের বিভিন্ন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর মানুষ দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা আয়োজনে পালন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা মঙ্গলবার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে সামস চত্বরে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন বাস্তবায়ন করেছে। বিকেলে আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ইতিহাস তুলে ধরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুন্সীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ। আদিবাসী দিবসের উপর আলোচনা করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, সিডিও’র নির্বাহী পরিচালক গাজী আল ইমরান, আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক দিপংকর বিশ্বাস. ইউপি সদস্য হরিদাস হালদার, বারসিকের উন্নয়ন ও পরিবেশ কর্মী চম্পা মলি¬ক, কারিতাসের কর্মকর্তা শান্তনু রায় ও সিসিডিবি’র কর্মকর্তা নির্মল টুডু।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গোপাল মুন্ডা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাবু রাম প্রসাদ মুন্ডা।
আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন অসিত মুন্ডা, সত্যচরন মুন্ডা, রতিকান্ত মুন্ডা, খগেন্দ্রনাথ মুন্ডা, প্রশান্ত মুন্ডা, প্রেরণার উন্নয়নকর্মী আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামসের নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী কৃষ্ণপদ মুন্ডা।
অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘অধিকার কেউ দেয় না। অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সুন্দরবন উপকূলের মুন্ডা জনগোষ্ঠীকে সবাই সজ্জন আদিবাসী বলে চেনেন সকলে। কিন্তু তারপরও সবাই দেখেছে কীভাবে তারা তাদের ভূমি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে শুধু সজ্জন হিসেবে থাকলেই চলবে না। তাদের অধিকার আদায়ের জন্য এক থাকতে হবে। সংগ্রাম করতে হবে।