সদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরায় নারী ও অন্ত্যজ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার সদর উপজেলা পরিষদের ডিজিটাল হলরুমে নারী ও অন্ত্যজ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১১টায় উই ক্যান, উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা ও নকশিকাথা এই সভার আয়োজন করে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জয়ন্তী রাণী মন্ডল।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা জেলার উপ-পরিচালক সঞ্জীত কুমার দাস।

প্রধান অতিথি সঞ্জীত কুমার দাস বলেন, সাতক্ষীরায় রয়েছে মুন্ডা, চৌদালী আদিবাসী, বিভিন্ন অন্ত্যজ জনগোষ্ঠী, রয়েছে বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন। মানুষ হিসেবে তাদের প্রতি রয়েছে আমাদের যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা যদি সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে পারি তবে এই সমাজকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বাভাবিক জনগোষ্ঠী কাতারে নিতে সহায়ক হবে।

প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন উই ক্যানের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার নাজমুস সাকিব।

সভায় বক্তব্য রাখেন এডাবের সভাপতি ও স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী চেতনার পরিচালক আনিছুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আব্দুল হাই সিদ্দিকী।

ফাতেমা তুজ জোহরা অবহিতকরণ সভায় বলেন, সমাজে নারীরা আগের তুলনায় কম অবহেলিত। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি এনজিওরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নতুন এই প্রকল্প দক্ষিণ জনপদের নারীদের পাশাপাশি অবেহেলিত সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ডিস্ট্রিক্ট রিপোর্টার আমিনা বিলকিস ময়না, সুশীলনের সাতক্ষীরা অফিসের জি এম মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক জুলফিকার রায়হান, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণান্দু মুখার্জী, প্রতিবন্ধী পুণর্বাসন কল্যাণ সমিতির পরিচালক শেখ আবুল কালাম আজাদ, ট্রান্সজেন্ডার রাইসুল ইসলাম, নিতাই মুন্ডা প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নকশিকাথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী।

সভায় সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন বলেন, সমাজ সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা। তারপরও বেশীর ভাগ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে মানুষের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *