অপরাধসদরসাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরা সদরের চাঁদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় ২ নারীকে ব্যাপক মারপিট

স্টাফ রিপোর্টার: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সদরের ভালুকা চাঁদপুরে রাতের আঁধারে বাড়ীতে ঢুকে দুই নারীকে ব্যাপক মারপিট করে একজোড়া স্বর্ণের দুল ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাতেই স্থানীয়রা ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

রবিবার (২০ জুলাই) দিনগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার চাঁদপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, একই এলাকার বাবুল আকতারের ছেলে শোয়েব আকতার (২৫), স্ত্রী শিরিনা খাতুন (৪৫) ও জামাল মোড়লের ছেলে বাবুল আকতার (৫০), বজলু মোড়ল (৪২) এর সাথে চলাচলের পথ নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মোমিন হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে মোমিনকে মারার জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয় তাদের বাড়ীতে যায় তারা। এসময় মোমিন বাড়ীতে না থাকায় মোমিনের দাদী খোদেজা খাতুন (৫৫) ও মা আয়শা খাতুন (৩২) কে ব্যাপক মারপিট করে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খোদেজা খাতুনের মাথায় ৫ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তার ডানহাতে কামড়ে ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে মাংশ। তার মুখের বামপাশে ভারী বস্তুর আঘাতও স্পষ্ট।

কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ওরা আমার পোতাছেলেকে মারতে এসেছিল। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সে সময় চলে গিয়েছিল। শোয়েব আমার পোতাছেলেকে মেরে ফেলবে। আমি এসপি স্যারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে মোমিনের মা আয়শা খাতুন বলেন, আমি আত্মীয়ের বাড়ী থেকে এসে আমার ঘরে বিশ্রাম করছিলাম। আমার ছেলে ছাড়া আমাদের বাড়ীতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় শোয়েব, বাবুল আকতার, বজলু মোড়ল আমাদের বাড়ীতে এসে হঠাৎ মারপিট শুরু করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা আমার শ্বাশুড়ীকে মারা শুরু করলে আমি ঠেকাতে যাই। সে সময় শোয়েব ও তার মা আমাকে মারতে শুরু করে। এসময় তারা আমার কানে থাকা আট আনা একজোড়া স্বর্ণের দুল ও গলায় থাকা একভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। আমাদের চেচামেচিতে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার জানান, খোদেজা খাতুনের মাথার আঘাত বেশ গুরুতর। সিটিস্ক্যান করলে বিস্তারিত জানাতে পারবো্।

জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *