সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে হাঁটুজলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পাল
গাজী হাবিব: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের জলাবদ্ধতা চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করছে সাতক্ষীরা পৌরবাসী। পৌর এলাকার এই জলাবদ্ধতা নিরসনে হাঁটুজল মাড়িয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পাল মধ্য কাটিয়া ও গদাই বিলের প্রায় অর্ধ শতাধিক অপরিকল্পিত ঘেরের বেঁড়িবাধ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে প্রখর রৌদ্রতাপ উপেক্ষা করে দিনভর তিনি কাটিয়া এলাকায় জমে থাকা পানি অঅপসারনের পথ উন্মুক্ত করে দেন।
সাতক্ষীরা পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে দিনভর কাজ করে জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
জানা যায়, জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে মাঠে কোন জনপ্রতিনিধি না থাকায় দিনরাত সকল সমস্যা দেখতে হচ্ছে প্রশাসকদের। এজন্য তিনি হাঁটুজলে পায়ে হেঁটে, কখনো নৌকায় চড়ে, কখনো মৎস্যঘেরের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এলাকাবাসীর সাথে দিনভর তিনি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাছাড়া যে সব ঘেরের বেঁড়ি কাটা হয়েছে তার মালিকদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য -উপাত্ত নিজে নোট করেছেন। মোট কথা সারা দিন তিনি মাঠেই কাটিয়েছেন। নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়ায় ইতোমধ্যে সড়কে থাকা পানি নেমে গেছে। জনসাধারনের চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। অনেকের রান্নাঘরের পানি নেমে গেছে। স্যানিটেশন সমস্যা থেকে অনেক পরিবার মুক্তি পেয়েছে।
এ বিষয়ে কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম জানান, এডিসি স্যারের মত মানুষ আমি জীবনেও দেখিনি। জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা হয়েও তিনি যেভাবে মাঠ-ঘাট, ঘের-ভেড়ি চষে বেড়িয়েছেন, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে কাজ করেছেন তা সত্যিই বিরল। স্যারের জন্য দোয়া করি।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি কর্মকর্তারা শুধু হুকুম দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে সেখানে বিষ্ণুপদ স্যার নজির স্থাপন করে গেলেন। আমরা সারা জীবন স্যারের কথা মনে রাখবো।
সাতক্ষীরা গদাইবিলের মৎস্যঘেরের উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত করার সময় সাতক্ষীরা পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর (চলতি) রবিউল আলম লাল্টু, কার্য সহকারী আব্দুল মোতালেব ও তুষার চৌধুরী, সমাজ সেবিকা মৌমি কুইন সাথী, শহিদুল ইসলাম, মো. আরিফ, মো. শাহিন, রুহুল আমিন, সানী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।