সদরসাতক্ষীরা জেলা

ভোমরা টু পদ্মশাঁখরা সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত- বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

জিয়াউল ইসলাম জিয়া : খানাখণ্ডকে পরিণত গর্তে পানি জমে থাকা জায়গাটা হচ্ছে -সাতক্ষীরা জেলার প্রাণকেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দরের একটা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়কটি ভোমরা কাস্টমস অফিসের মোড় থেকে ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার প্রধান সড়ক। আবার ভোমরাস্থল বন্দর থেকে চৌবাড়িয়া, শ্রীরামপুর, কুলিয়া আশু মার্কেট যাওয়ারও প্রধান সড়ক এটা।

এই সড়ক দিয়ে এলাকার ছেলে মেয়েদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। আবার ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা তাদের আমদানি রপ্তানিকৃত মালামাল এই সড়ক দিয়ে তাদের নিজস্ব গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাক ড্রাইভাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। বিশেষ করে ভোমরা কাস্টমস অফিস মোড় থেকে ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অফিস পর্যন্ত চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার মাথাব্যথা নেই। অথচ সরকার প্রতি মাসে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করছে। বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দরের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

তাই এলাকার সর্বস্তরের মানুষের জোর দাবি , জরুরী ভিত্তিতে এই সড়কটি সংস্কার করা হোক। বড় ধরনের কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটার আগেই যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক না নড়ে, তবে ভোমরা স্থলবন্দর এলাকার সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি আদায় করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়ার বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।

ভোমরা স্থলবন্দর এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ভোমরা কাস্টমস সি এন্ড এফ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিগতভাবে কয়েক ট্রাক বালু ও পাথর দিয়ে সড়কটি সংস্কার করে দিলেও বর্তমানে আবারো সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি বর্তমানে মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য বন্দর সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন সহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *